পাবনায় তিন মাস যাবত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই

পাবনা প্রতিনিধি : গত তিন মাস ধরে পাবনা জেলার হাসপাতালগুলোতে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে বেশি দামে বাইরে থেকে কিনে নিতে হচ্ছে তাদের। প্রতিদিন হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা চাহিদাপত্র পাঠালেও সরবরাহ পাচ্ছেন না তারা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন শেষ হয়েছে। তার আগেই ৬ জুলাই প্রথম দফায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদা পাঠানো হয়। কিন্তু ভ্যাকসিন আসেনি। এরপর গত বছরর ২৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। গত তিনমাস পার হলেও এখনও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় দু’জন রোগীর স্বজনদের সাথে। আব্দুল হামিদ নামের এক অভিভাবক বলেন, এত বড় একটা হাসপাতাল, অথচ জলাতঙ্কের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। জানতে পারলাম তিনমাস ধরে ভ্যাকসিন নেই। তাহলে আমরা গরীব মানুষ তাহলে কোথায় যাবো।
মনিরুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, আমরা গরীব মানুষ, হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন পেলাম না। বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে দেওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। উপজেলা হাসপাতালে না পেয়ে তবেই পাবনা সদরে আসছি। এখানেও পেলাম না। কি করবো বাধ্য হয়ে টাকা ধার করে হলেও দিতে হবে। কিন্তু এভাবে তো একটা হাসপাতাল চলতে পারে না। আমরা দ্রুত জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুনপাবনা জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, গত তিন মাস ধরে হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। আমরা এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি। যেকারণে আমরাও রোগীদের দিতে পারছি না।
সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান আরও জানান, আমরা সর্বশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর’২৪ তারিখে ১০ হাজার র্যাবিক্স ভিসি ও ২ হাজার র্যাবিক্স আইজি’র চাহিদা পাঠিয়েছি। যদি সরবরাহ পাই দেখা যাবে ১০ হাজারের বিপরীতে পাবো ২ হাজার ভ্যাকসিন। তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ মাস চলবে। আমাদের পাবনায় গড়ে প্রতিমাসে ৭শ’ থেকে ৮শ’ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয়।
মন্তব্য করুন