হঠাৎ বেড়েছে শীতের দাপট
ভারি কুয়াশা আর উত্তরের কনকনে বাতাসে কাতর পঞ্চগড়ের মানুষ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও গত দুইদিন থেকে নামছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। পরদিন গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দুইদিন ধরে ভোররাত থেকে ঝরছে ঘন কুয়াশা। প্রায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা কাটছে না।
এরই মধ্যে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও দিনের বেলাতেও কুয়াশার কারণে রোদের তেজ অনুভূত হচ্ছে কম। সেই সাথে দিনে রাতে বইছে উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস। এতেই কাবু পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষ। দিনের বেলাতেও জেলার অনেক জায়গায় খড়কুটো জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাদের।
সকালের কনকনে শীতের মধ্যেও পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে শ্রমজীবী মানুষগুলোকে। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের পাশে সিএন্ডবি এলাকায় দেখা গেছে ভারি কুয়াশার মধ্যেও পাথর শ্রমিকরা কাজে নেমে পড়েছেন। পাথর বাছাই থেকে শুরু করে পাথরভাঙ্গা মেশিনে পাথর ভাঙ্গার কাজ করছেন শ্রমজীবী নারী-পুরুষ শ্রমিকরা।
আরও পড়ুনপাথর শ্রমিক শেফালী বেগম জানান, কাজে না এলে খাবো কি? শীতের কারণে বাড়িতে বসে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে সারাদিন উপোষ থাকতে হবে। বাজারের জিনিসপত্রের যে দাম, সারাদিন কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। এরপর আছে আবার কিস্তির জ্বালা। বৃহস্পতিবার এলেই সকালে কিস্তির সাহেব বাড়িতে হাজির হবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় করতোয়া’কে জানান, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় রোদের তেজ কম থাকা এবং উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৯ এবং বিকেল ৩টায় এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও ৩/৪ দিন বিরাজ করতে পারে।
মন্তব্য করুন