_medium_1750077104.jpg)
ফসল উৎপাদনে নতুন নতুন রোগবালাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের
রংপুর প্রতিনিধি : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের ফসল উৎপাদনে নতুন নতুন রোগবালাই দেখা দেওয়ায় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের বাড়তি খরচের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। খরচ প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনেও।
কৃষকদের অভিযোগ সময়মতো পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক সময় কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে পাওয়া যায় না। তারা জানান, ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ তো দূরের কথা, অনেকেই তাদের চিনেনও না।
রংপুর বিভাগের সব থেকে বেশি ফসলি জমি রয়েছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। বছরে যা গড়ে ৬ লাখ মেট্রিকটন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এখানকার কৃষকদের।
কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দেখা না পেয়ে স্থানীয় বাজারে সার কীটনাশকের দোকানে গিয়ে তাদের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কিনে জমিতে প্রয়োগ করছি। কোনো সময়ই কৃষি বিভাগের কাছ থেকে সহযোগিতা মিলছে না বলে তার অভিযোগ।
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, ফসলের ক্ষেতে সমস্যা হলে অনেক কৃষক আমাদের পরামর্শ না নিয়ে স্থানীয় হাট-বাজারে গিয়ে দোকানদারদের সাথে পরামর্শ করে তাদের জমিতে সার কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এটা করা কখনই ঠিক না।
আরও পড়ুন
কোন জমিতে কতুটুকু সার দিতে হবে কি পরিমাণ কীটনাশক দিতে হবে সেটা আমাদের কাছে না শুনে তারা তাদের ইচ্ছে মতো জমিতে সার কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এতে করে জমি ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুল রহমান মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি কিভাবে তারা তাদের ফসলের যত্ন্ন নিবেন। কিভাবে জমিতে সার প্রয়োগ করবেন কীটনাশক দিবেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করছেন কৃষকের সাথে। মিঠাপুকুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি ওয়ার্ড মিলে কৃষকদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ দিতে দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন