ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছয়টি দুর্বল ব্যাংককে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এসব টাকা মার্কেট থেকে তুলে নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর জানান, আগামী রোববার থেকে এসব ব্যাংকগুলোতে টাকা পেতে শুরু করবে গ্রাহকরা। তবে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না তুলতে গ্রাহকদের অনুরোধ করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্যেই এটি দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

আমানতকারীদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, আমানতকারীদের টাকা নিরাপদে আছে, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনারা যে ব্যাংকেই টাকা রেখে থাকুন নিরাপদে থাকবে, সমস্যা হবে না। আপনাদের যতটুকু টাকা প্রয়োজন ততটুকুই তুলুন। আমানতকারীর টাকা নিয়ে সমস্যা নেই, এ নিয়ে মাথাব্যথা আমাদের। আমানতকারীর টাকা সুরক্ষিত থাকবে। তবে একবারে একসঙ্গে সবাই টাকা উত্তোলন করতে গেলে কোনো ব্যাংকই টিকবে না।

আরও পড়ুন

নতুন টাকা ছাপানো নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে টাকা সরবরাহ করেছি। এখানে টাকার ফ্লো বাজারে বাড়বে না, আবার মূল্যস্ফীতিও বাড়বে না। কারণ, আমরা এক হাতে টাকা দিচ্ছি, বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে সেসব টাকা অন্য হাতে তুলেও নিচ্ছি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মনিটরিং পলিসি আগের মতোই টাইট থাকবে। বাজারকে অস্থিতিশীল করবো না। রোববার থেকে ব্যাংকের শাখায় যাবেন, দেখবেন সব শাখায় টাকা নিতে পারছেন গ্রাহকরা। তবে সব গ্রাহক একবারে নিলে টাকা থাকবে না। আবার এটাও বলবো, কেউ যেন একসঙ্গে ১০০ কোটি টাকা তুলতে না যায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নরের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন করে টাকা ছাপিয়ে আর কোনো দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দেয়া হবে না।

তিনি জানিয়েছিলেন, আন্তঃব্যাংকের মাধ্যমে সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়া হবে এবং সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করবে। তারল্য সংকট কাটাতে পুরো সাপোর্ট দিতে হলে দুই লাখ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে বহুগুণ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজশাহী সার্কিট হাউসের আরও ভবন নির্মাণ করতে ৫২টি গাছ কাটা হচ্ছে

লালমনিরহাটের সীমান্তে ঘাস কাটতে যাওয়া যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

সিরাজগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

৪ দফা দাবিতে বগুড়া পলিটেকনিক‘র শিক্ষার্থীদের বেতগাড়িতে ব্লকেড

উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক গ্রেফতার নিয়ে উত্তেজনা, ডিসি-এসপি অফিস ঘেরাও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের হাতে পলাতক ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি গ্রেফতার