ভিডিও বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এলজিইডির কালভার্ট ভেঙে দিয়েছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এলজিইডির কালভার্ট ভেঙে দিয়েছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নির্মাণাধীন একটি সড়ক থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন অনুমতি না নিয়েই একটি বক্স কালভার্ট ভেঙে দিয়েছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ওই এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র পথ বন্ধ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের জমির ফসলের ক্ষতি হবে।

অবশ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে ইতোমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন-২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশিন-কৃষ্ণদীঘিহাট সড়ক ভায়া ধনকুন্টি, মাদারজানি পর্যন্ত ৬.৯১০ কিলোমিটার  সড়ক পাকাকরণের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের দরপত্র আহবান করা হয়।

এ কাজের পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ চার ৪ হাজার ৮২৭ টাকা ৪০ পয়সার চুক্তিমূলে যৌথভাবে কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওশন এন্টার প্রাইজ ও সোহান এন্টারপ্রাইজ নামের যৌর্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সড়কে বেড তৈরি করা শুরু করে।

আর ওই সড়কের মাদারজানি গ্রাম এলাকায় ২৫ বছর আগে বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি প্রবাহের পথের জন্য নির্মিত একটি বক্স কালভার্ট এলজিইডির অনুমতি না নিয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালভার্টটি ভেঙে মালামাল বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলীকেকে জানান হয়।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সেলিম হোসেন বলেন, বক্স কালভাট ভাঙাই ছিল। আমরা সড়কে কাজ করার সময় অবশিষ্ট কিছু ইট ছিল তা সরিয়ে রেখেছিলাম। যা লোকজন নিয়ে যেতে পারে। আমরা মালামাল বিক্রি করিনি।

এদিকে এলাকার কৃষক নোমান আলী, আক্কাস আলী, সোহেল রানাসহ অনেকে জানান, ওই স্থানে কৃষকদের সুবিধার্থে ২৫ বছর পূর্বে বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি প্রবাহে বক্স কালভাট নির্মাণ করা হয়েছিল। যা অপসারণ করায় বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হওয়ায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হবে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, অনুমতি না নিয়ে এভাবে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার কারো নেই। ইতোমধ্যেই  ঠিকাদারি  প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শনার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারত সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দাবি করবে বাংলাদেশ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা, যুবক নিহত

ঢাকায় সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

নবম-দশম শ্রেণির বই থেকে বাদ হচ্ছে ‘ফাদার অব দ্য নেশন’ অধ্যায়

এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি

ম্যাচসেরা হয়ে বোলারদের প্রশংসা তাইজুলের