ভোজনপ্রেমীদের আকর্ষণ কেড়েছে রফিকুলের হোটেল ‘বাসরঘর’

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বাসর ঘরের মতো ফুলের সাজসজ্জা দেখেই হোটেলটির নাম পড়েছে বাসরঘর। একদিকে যেমন ব্যতিক্রম নাম হোটেলের ঠিক তেমনি খাবারের নামও যেন ব্যতিক্রম। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভোজনপ্রেমীরা।
জানা যায়, দোকানের নেই কোন সাইনবোর্ড। এরপরেও বাসর ঘরের দোকান বললে এক নামে সকলে চেনেন রফিকুল ইসলামের দোকান। নিজ এলাকার পাশপাশি অন্য এলাকার মানুষদের মুখে মুখে এখন এই বাসরঘর হোটেল। দীর্ঘদিন ধরে হোটেল করে আসছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের পাটিয়াডাঙ্গী বাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম।
ছোট থেকেই ফুলের প্রতি ছিলো তার ভালোলাগা। সেই সুবাধে নিজের হোটেল বাসর ঘরের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি। হোটেলে খেতে আসা ভোজনপ্রেমীরাই দোকানটির নামকরণও করেছেন বাসরঘর। এরপর থেকেই তার হোটেলটি বাসর ঘর নামেই সারা ফেলেছে ব্যাপকভাবে। স্থানীয়দের পাশপাশি দূর-দূরান্তের মানুষের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে ‘রফিকুলের বাসরঘর’ নামের হোটেলটি।
স্থানীয়রা জানান, রফিকুলের বাসরঘর শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান নয়, এটি এক অভিজ্ঞতা। এখানে অনেকে আসেন কৌতূহল নিয়ে, আর ফিরে যান তৃপ্তি নিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের জন্য এটি যেন নতুন স্বাদের এক ঠিকানা।
আরও পড়ুনহোটেলে রয়েছে ভিন্ন নামের পরিচিত কিছু খাবার, তার মধ্যে রয়েছে মুড়ি ও বুট দিয়ে তৈরি হয় চিকেন, বুন্দিয়া ও বুট দিয়ে তৈরি চাইনিজ খাবার এবং মুড়ি, বুট ও চানাচুর দিয়ে তৈরি নুডুলস। এই খাবারগুলো নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ভোজনপ্রেমীদের কাছে।
এছাড়া দুপুরের স্পেশাল মেন্যুতে থাকছে, হাঁসের মাংস, বিভিন্ন প্রকারের মাছ, মুরগি ও সবজি। খাবারের মান এবং দোকানের পরিবেশ দেখে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভোজনপ্রেমীরা ছুটে আসে এখানে। হোটেল মালিক রফিকুল ইসলাম বলছেন, প্রতি ছয়মাস পর পরেই ফুলগুলো পরিবর্তন করেন তিনি।
তার এই দোকানে দৈনিক এক হাজারের মতো ভোজনপ্রেমীরা আসেন খাবার জন্য। দৈনিক হোটেল থেকে তার আয় হয় ১০ হাজার টাকা। দোকানের আয় দিয়েই চলে তার সংসার।
মন্তব্য করুন