র্যাবের অভিযান
বগুড়ার সোনাতলার আলোচিত সহিদ হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার সোনাতলার আলোচিত সহিদ হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-১২, বগুড়া এবং র্যাব-১, গাজীপুর এর যৌথ অভিযানে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলে প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও শরিফুল ইসলাম (২৮), গাবতলী উপজেলার তেলিহাটি এলাকার মৃত হানিফ শাহ’র ছেলে মোঃ নুরন্নবী শাহ ওরফে চেংটু (৩৫), ও সোনাতলার মুরাব পটল এলাকার আতোয়ার হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩৫)।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামিরা মামলার সাজা এড়াতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী হতে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া এলাকায় সহিদের পরিবারের সাথে আসামিদের পায়ে হাঁটার রাস্তাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। পরে এই বিরোধের জেরে গত ৬ আগষ্ট তার আপন চাচাসহ অন্যান্য আসামিরা লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সহিদের মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে।
আরও পড়ুনতখন তার চিৎকারে তার মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও তারা মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা সহিদকে উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে আবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সহিদ (১৬) গত ১২ আগষ্ট মারা যায়।
এরপর সহিদের মা বাদি হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর খুনিদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে র্যাব-১২, বগুড়ার গোয়েন্দা টিম। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হয়।
গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সহযোগিতায় র্যাব-১২, বগুড়া এবং র্যাব-১, গাজীপুরের যৌথ অভিযানে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চন কান্দাপাড়ায় জামান মোল্লার বসত বাড়িতে হতে সহিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন