সাংবাদিকতায় অভি মঈনুদ্দীনের ‘রজত জয়ন্তী’

বিনোদন প্রতিবেদক: অভি মঈনুদ্দীন, দেশের প্রখ্যাত একজন বিনোদন সাংবাদিক। আজ থেকে ২৫ বছর আগে দৈনিক ‘আজকের কাগজ’এ একজন প্রদায়ক হিসেবে তার সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ততা ঘটে। দীর্ঘ ২৫ বছরের এই পথচলায় তিনি বিকল্প আর কিছু করার ভাবনাও ভাবেননি একটি বারের জন্য। বিনোদন সাংবাদিকতা’কে মনে প্রাণে ভালোবেসে তিনি এখানেই থেকে গেলেন। প্রয়াত অমর নায়ক সালমান শাহ’কে নিয়ে তিনি প্রথম প্রতিবেদন লিখেন। তবে আরেক প্রয়াত নায়ক বুলবুল আহমেদ’র সাক্ষাৎকার নেয়াই ছিলো তার প্রথম সাক্ষাৎকার। এরপর থেকে আজ অবধি জীবন্ত কিংবদন্তী যতো শিল্পীকে তিনি পেয়েছেন, সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আর নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মোটামুটি সবারই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি, সংবাদও লিখেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তিনি চলচ্চিত্র, নাটক গান বিষয়ে নানান সমস্যা চিহ্নিত করণ এবং তার সমাধাণের পথ দেখিয়েও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে লিখেছেন তিনি।

কনকনে শীত ডিসেম্বরেই, যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

স্টার্কের তোপে ১৮০ রানেই শেষ ভারত

জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ?

একজন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বর স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি প্রথম ২০১২ সালে ‘বাবিসাস’ সম্মাননা লাভ করেন। এরপর থেকে আজ অবধি তিনি ত্রিশ বারের মতো দেশের বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। অভি মঈনুদ্দীন ২০০৬ সাল থেকে আজ অবধি দৈনিক করতোয়া’র বিনোদন বিভাগের প্রধান হিসেব কর্মরত আছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন-এ লেখালেখি করেছেন। সুনামগঞ্জের নতুন উপজেলা মধ্যনগর বাজারে তার জন্ম। তার বাবা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও মা রুশেদা পারভীন। মধ্যনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যনগর বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার পর তিনি সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এইচএসসি’তে তিনি কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৮’তম স্থান অধিকার করেন। অভি মঈনুদ্দীন ২০২০ সাল থেকে নিজেই গান লিখেন ও সুর করেন। এরইমধ্যে তার লেখা ‘শতশত রাত’ (তিন্নি), ‘আমি চাই তোমাকে’ (ইউসুফ), ‘যেদিন চলে যেতে চেয়েছিলে তুমি’ (রুমানা ইসলাম), ‘দিনগুণে’(মাহাদিয়া) ও ‘চাইনা হৃদয় ভেঙ্গে যাক’ (ইউসুফ-লাবণ্য)’ প্রকাশিত হয়েছে। আজ অভি মঈনুদ্দীনের জন্মদিন। অভি বলেন,‘ জন্মদিনে সবার দোয়া চাই। আর আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন ভালো রাখেন, আমার বাবা মা, স্ত্রী, দুই কন্যাকে নিয়ে ভালো থাকতে পারি। অবশ্যই একজন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। বিনোদন সাংবাদিকতা এখনও অনেকের কাছে স্বপ্নের একটি জায়গা।’