কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে জনদুর্ভোগ কাঁচারাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : সাড়ে তিন কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা। শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় কর্দমাক্ত। এ ব্যস্ততম গ্রামীণ কাঁচা সড়কটি বেহাল দশা। বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটি জুড়ে হাঁটু কাঁদা থাকায় অসহনীয় দুর্ভোগ সহ্য করে যুগের পর যুগ চলাচল করছেন স্থানীয়রা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরও তা পাকাকরণের ব্যবস্থায় নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তাই ধানের চারা লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি ও খলিশা কোঠাল এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার সকালে ওই এলাকার হয়রত আলী, মফিজুল ইসলাম ও আক্কাশ আলীসহ এলাকাবাসী এ অভিনব প্রতিবাদ জানান। কর্দমাক্ত সড়কটি দিয়ে যানবাহন বিংবা ৫টি গ্রামের হাজারও লোক চলাচল করতে না পাড়ায় তাই রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম ও আলী হোসেন জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি ও খলিশা সড়কটি পাকাকরণের জন্য মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ সংসদ সদস্য কাছে পাকাকরণের জন্য বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটি গর্ত হয়ে পানি জমে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে তাদের কোনো নজর নেই। এভাবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর কেটে গেল। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির পাকাকরণের কাজ হয়নি। এই সড়কটি দিয়ে স্কুল, কলেজ পড়ু–য়া ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন চলাচল করছে। ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মালামাল কষ্টে আনা নেওয়া করছেন। অসুস্থ কোন রোগীকে চিকিৎসার দেওয়ার জন্য হলে মহাবিপদে পড়তে হচ্ছে। সড়কের অবস্থা করুণ পরিণতি হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুনএ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, ওই এলাকার লোকজন আমার কাছে এসেছে। তারা আপাতত চলাচলের জন্য ভিটি বালুর ফেলার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। তাদের ভিটি বালু ফেলার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, ওই সড়কটি পাকাকরণের বিষয়ে লট ভুক্ত হয়েছে কি না, তা আগে দেখতে হবে। যদি না হয়ে থাকে তাহলে লটভুক্ত করে পাকাকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন