বগুড়ার শেরপুরে শয়নকক্ষ থেকে ১৯টি বিষধর সাপ উদ্ধার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে শয়নকক্ষের মেঝের গর্ত থেকে ১৯টি খৈয়া গোখরা সাপ উদ্ধার হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে শহরের উত্তর সাহাপাড়াস্থ হরিজন পল্লীর হেলাল বাঁশফোরের বসতবাড়ি থেকে সাপগুলো উদ্ধার করা হয়। সেগুলো বস্তায় ভরে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এরপর প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হেলাল বাঁশফোর নামের ব্যক্তির শয়নকক্ষে একটি গর্ত ছিল। সেই গর্ত থেকে একের পর এক ১৯টি বিষধর সাপের বাচ্চা বের হয়। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা দেখার পর তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে স্বেচ্ছাসেবী দল এসে সাপগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের হাতে তুলে দেন।
শেরপুরের পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া সাপের বাচ্চাগুলো খৈয়া গোখরা প্রজাতির। এগুলোর বয়স এক মাস বলে ধারণা করা হচ্ছে। খৈয়া গোখরার প্রজননকাল এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। এসময় এই সাপ সাধারণত ইঁদুরের গর্তে সর্বোচ্চ ৩০টি ডিম দিয়ে থাকে। এই সাপের বাচ্চার বিষগ্রন্থি জন্ম থেকেই কার্যকর। এই সাপের দংশনের পনের থেকে একশ’ বিশ মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারলে সুস্থ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনউপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। তবে এখানে রাসেলস্ ভাইপার নেই। যেসব সাপ রয়েছে তার ৮০ শতাংশ সাপের বিষ নেই। তবে খৈয়া গোখরা সাপ বিষধর। এই সাপ কামড়ালে রোগীকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হবে। উপজেলায় অ্যান্টিভেনম দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
মন্তব্য করুন