ভিডিও রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫৭ বিকাল

যেভাবে বুঝবেন স্মার্টফোনের আয়ু শেষ হতে চলেছে

যেভাবে বুঝবেন স্মার্টফোনের আয়ু শেষ হতে চলেছে

আজকের পৃথিবীতে স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় এটি কাজ, বিনোদন, নেভিগেশন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্যসংরক্ষণ পর্যন্ত সবকিছুই সামলায়। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটি কখন পুরোপুরি অচল হতে পারে, তা আগে থেকেই জানা জরুরি। আপনার ফোন শেষ বয়সের দিকে এগোচ্ছে এমন কিছু স্পষ্ট লক্ষণ আছে, যেগুলো নজরে রাখলে বড় সমস্যার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।

ব্যাটারি আচরণ বদলে যাওয়া প্রথম সতর্কবার্তা

মৃতপ্রায় ফোনের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ব্যাটারি সমস্যা। দ্রুত চার্জ কমে যাওয়া, দিনে বারবার চার্জ দিতে হওয়া, কিংবা ২০-৩০ শতাংশ চার্জ থেকেও হঠাৎ করে ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া এসবই বিপদের ইঙ্গিত। এছাড়া ফোন দীর্ঘ সময় চার্জে রাখলেও যদি ১০০ শতাংশ হতে দেরি হয়, ব্যাটারি ফুলে যায় বা ডিভাইস অস্বাভাবিক গরম হতে থাকে, তবে সময় এসেছে সতর্ক হওয়ার।

ফোনের ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করেও অনেক ধারণা পাওয়া যায়। অ্যান্ড্রয়েডে সেটিংসে গিয়ে ব্যাটারি স্ট্যাটাস দেখুন আর আইফোনে ব্যাটারি→ ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং এ গিয়ে ব্যাটারির প্রকৃত অবস্থা জানা যায়।

পারফরম্যান্স কমে যাওয়া
পারফরম্যান্স কমে যাওয়া ফোনের বার্ধক্যের সোজাসাপটা লক্ষণ। একসময় যেসব কাজ ফোন মুহূর্তেই করত, সেগুলো হঠাৎ করে ধীর হয়ে গেলে সমস্যা স্পষ্ট। অ্যাপ ওপেন হতে দেরি হওয়া, কিবোর্ডে টাইপ করলে ল্যাগ করা, টাস্ক সুইচিংয়ে হ্যাং করা এসবই ইঙ্গিত দেয় আপনার ফোন তার ক্ষমতা হারাচ্ছে।

স্টোরেজ-সংক্রান্ত সমস্যাও একটি বড় লক্ষণ। অপ্রয়োজনীয় ফাইল বা অ্যাপ মুছেও যদি ফোন বারবার আউট অব স্টোরেজ দেখায়, তবে ডিভাইসটি আর আপনার ব্যবহারের উপযোগী নেই বলেই ধরে নিতে হবে।

সফটওয়্যার আপডেট না আসা
বেশ কিছু ফোন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যার আপডেট পাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে শুধু নতুন ফিচারই মিস হয় না, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও তৈরি হয় বড় ঝুঁকি। পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্যাংকিং অ্যাপ ঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে এবং হ্যাকারদের নজরেও পড়ে যেতে পারে সহজে।

 

যদি ফোন দীর্ঘদিন আপডেট না পায়, তাহলে বুঝতে হবে ডিভাইসটি আর সমসাময়িক অ্যাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমন পরিস্থিতিতে ফোন বদলে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না।

 

ডিসকাউন্টে আইফোন কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

 

আরও পড়ুন

বর্তমানে ডিসকাউন্ট বা অফার দিয়ে আইফোন বিক্রি করা খুব সাধারণ একটি কৌশল। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপ বা রিসেল মার্কেটে অনেক বিক্রেতাই অবিশ্বাস্য দামে আইফোন পাওয়ার অফার দেয়। কিন্তু এখানে লুকিয়ে থাকে নানা ধরনের প্রতারণা, ফাঁদ এবং প্রযুক্তিগত ঝুঁকি। অল্প কিছু বিষয় খেয়াল না রাখলে আপনি সহজেই বড় আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে পারেন। তাই ডিসকাউন্টে আইফোন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিকমতো দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আসুন কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকবেন জেনে নিন-

ডিভাইসটি রিফারবিশড কিংবা রিকন্ডিশন্ড কি না যাচাই করুন

অনেক সময় বিক্রেতারা রিফারবিশড বা রিকন্ডিশন্ড আইফোনকে নতুন বলে চালিয়ে দেয়। এ ধরনের ফোনের ভেতরের হার্ডওয়্যার আগেই মেরামত করা হয়, যেটি ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করার সম্ভাবনা বাড়ায়। আপনি চাইলে সেটিংসে গিয়ে মডেল নম্বরে ‘এফ’, ‘এন’ বা ‘আর’ আছে কি না দেখে নিতে পারেন। সাধারণত ‘এম’ দিয়ে শুরু হলে সেটি নতুন ডিভাইস।

অ্যাক্টিভেশন লক বা আইক্লাউড লক আছে কি না দেখুন
অনেক প্রতারক চুরি করা বা লকড আইফোন ডিসকাউন্টে বিক্রি করে। আইফোন রিস্টোর করেও যদি অ্যাক্টিভেশন লক আসে, বুঝবেন ফোনটি আসল মালিকের আইক্লাউড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বাঁধা। এই ধরনের ফোন কখনোই সম্পূর্ণ ব্যবহার করা যায় না। কেনার আগে অবশ্যই অ্যাক্টিভেট করা ফোন হাতে নিয়ে পরীক্ষা করুন।

আইএমইআই ও সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে নিন
ফোনের বক্সে লেখা সিরিয়াল নম্বর এবং ডিভাইস সেটিংসের সিরিয়াল নম্বর মিলছে কি না এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় ভুয়া বক্স বা অন্য ফোনের বক্স দিয়ে প্রতারণা করা হয়। চাইলে অ্যাপলের অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে ওই সিরিয়াল নম্বর দিয়ে ফোনটির ওয়ারেন্টি ও আসল স্ট্যাটাস যাচাই করে নিতে পারেন।

ডিস্কাউন্টের অজুহাতে পুরোনো ব্যাটারি দিয়ে বিক্রি করা হয়
আইফোনের ব্যাটারি হেলথ ৮৫ শতাংশের নিচে হলে দ্রুত চার্জ কমে যায় এবং ব্যবহার অভিজ্ঞতা খারাপ হয়। ডিসকাউন্টে আইফোন বিক্রির অন্যতম ফাঁদ হলো কম ব্যাটারি হেলথযুক্ত ফোন। তাই কেনার সময় ব্যাটারি হেলথ অবশ্যই চেক করুন এবং সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশের বেশি হলে নিতে চেষ্টা করুন।

ফেক ডিসপ্লে বা নন-অরিজিনাল পার্টস চেক করুন
নন-অরিজিনাল স্ক্রিনযুক্ত আইফোনে কালার একুরেসি, ব্রাইটনেস এবং টাচ রেসপন্স খারাপ হয়। অনেক বিক্রেতা স্ক্রিন পাল্টে অরিজিনাল বলে বিক্রি করে। এইফোন এক্স এবং পরবর্তী মডেলে সেটিংসে গিয়ে পার্টস অ্যান্ড সার্ভিস হিস্টোরি দেখে নেওয়া যায় যে স্ক্রিন বা ব্যাটারি পরিবর্তন করা হয়েছে কি না।

অতিরিক্ত অফার বা অস্বাভাবিক কম দাম দেখলেই সন্দেহ করুন
আইফোনের দাম কোনো সময়ই অস্বাভাবিকভাবে কম হয় না। খুব বেশি ডিসকাউন্ট সাধারণত প্রতারণারই ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, অগোছালো ওয়েবসাইট বা নতুন অনলাইন শপে অনেক জালিয়াতি হয়। তাই শুধু দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

বিশ্বস্ত দোকান বা অনুমোদিত রিটেইলার থেকে কেনার চেষ্টা করুন
সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো অনুমোদিত অ্যাপল রিটেইলার বা বিশ্বাসযোগ্য দোকান থেকে কেনা। এখানে আপনি পাবেন অরিজিনাল ডিভাইস,ভেরিফাইড ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা, ঝামেলাহীন রিটার্ন সুবিধা। দাম কিছুটা বেশি হলেও প্রতারণা বা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

পারফরম্যান্স টেস্ট করতে ভুলবেন না। ফোনটি হাতে নিয়ে ক্যামেরা, স্পিকার, টাচ, ফেস আইডি/টাচ আইডি, চার্জিং। ওয়াইফাই-ব্লুটুথ, সবকিছু ভালভাবে পরীক্ষা করুন। অনেকসময় ডিসকাউন্টের ফোনে এই ছোট কিন্তু জরুরি ফিচারগুলো কাজ করে না।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যেভাবে বুঝবেন স্মার্টফোনের আয়ু শেষ হতে চলেছে

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কম্পিউটার-ল্যাপটপ হ্যাক হয়েছে

বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি: প্রধান বিচারপতি

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই চূড়ান্ত সমাধান : চীনা রাষ্ট্রদূত

কুষ্টিয়ায় প্রাইভেটকার থামিয়ে ডাকাতি, ভিডিও ভাইরাল

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ