অপু আমানের কথা সুরে নিশাতের কন্ঠে ‘বিদেশে যাইওনা রে বন্ধু’
_original_1755699260.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ মির্জা নিশাত এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। সাধারনত ফোক গান গাইতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্টেজ শোতেও তিনি ফোক গানই গেয়ে থাকেন। তবে নিশাত তার সঙ্গীত জীবনের শুরু থেকেই চেয়ে এসেছিলেন যেন নিজের কিছু মৌলিক ফোক গান থাকে। যে কারণে বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত নিজের গানেই মনোযোগী হয়ে উঠেছেন তিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করতেন তিনি। কিন্তু তারপরও গান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি কখনো নিশাত। গানের চর্চা যেমন চালিয়ে গেছেন ঠিক তেমনি নতুন নতুন গানও করেছেন। গানের ভুবেন পথ চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অপু আমানের দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ তিনি এর আগেও নিশাতের বেশ কয়েকটি গানের কাজ করেছেন।
এরইমধ্যে নিশাতের কন্ঠে অপু আমানের কথা ও সুরেই প্রকাশিত হয়েছে আরো একটি ফোক ঘরানার গান ‘বিদেশে যাইওনা রে বন্ধু’ গানটি। গানটির মিউজিক এবং মিক্স মাস্টার করেছেন অপু আমানই। এই গানটি প্রকাশের পর বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন নিশাত।
নিশাত বলেন,‘ অপু আমানের কথা ও সুরে এর আগেও আমি গান গেয়েছি। তবে বিদেশে যাইওনা বন্ধু- গানটির জন্য বেশি সাড়া পাচ্ছি। চেষ্টা করেছি খুউব দরদ দিয়ে গানটি গাইতে। আর মিউজিক ভিডিওতে আমাকেও বেশ গ্ল্যামারাসভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নিশাত মিউজিক জোন-এ প্রকাশিত এই গানটির কমেন্ট বক্সে গান নিয়ে, মিউজিক ভিডিওতে আমার প্রেজেন্স নিয়ে অনেক পজিটিভি মন্তব্য পড়ে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি আরো ভালো ভালো গান করার। ধন্যবাদ অপু আমানকে আমাকে চমৎকার এই গানটি করে দেবার জন্য। সত্যি বলতে কী আমার গানের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অপু আমানের যে অবদান তাতে আজীবন তার প্রতি আমি মন থেকে কৃতজ্ঞ থাকবো। তার কাছে ঋনী আমি।’
আরও পড়ুনমির্জা নিশাত এক দশকেরও বেশি সময় রাজধানীর লিংকন ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে চাকুরী করেছেন। বর্তমানে তিনি গানের পাশাপাশি স্পেকট্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
এদিকে নিশাত জানান, শিগগিরই আরো একটি ফোক ঘরানার গান ‘রসিক চান’ প্রকাশ পাবে তারই চ্যানেলে। গানটি লিখেছেন রাসেল কবির, সুর করেছেন স্বপ্নীল রাজ। নিশাতের তার বাবা মির্জা নূরুল হকের কাছেই তার গানের হাতেখড়ি। গাজীপুর জেলা শিল্পকলায় কিছুদিন গান শিখেছেন। তবে বাবা ১৯৯৯ সালে মারা যাবার পর গানের পথে এগিয়ে যেতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে নিশাতকে। তার মা মনোয়ারা বেগমেরও স্বপ্ন ছিলো মেয়েকে গায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখার। তিনিও দু’বছর আগে মারা যান। তাই বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই এখন গানে অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেছেন নিশাত।
মন্তব্য করুন