ভিডিও রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

‘বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী’ সাধারণ ভারতীয়রা পাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি

‘বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী’ সাধারণ ভারতীয়রা পাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসামে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় চাইলে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবে সেখানকার সাধারণ ভারতীয়রা। এ সংক্রান্ত লাইসেন্স নীতির অনুমোদন করেছে আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। ‘অরক্ষিত বা  প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসরত নাগরিকদের আত্মরক্ষার জন্য এই নতুন ব্যবস্থা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদনের জন্য একটি ডিজিটাল পোর্টাল চালুও করেছে আসাম সরকার। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু অংশে অস্ত্রের লাইসেন্স যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য কারা, কীভাবে আবেদন করতে পারবেন, সেটিও জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘু-প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই লাইসেন্স দেয়া হবে। গত মে মাসে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যটির মন্ত্রিসভা। এবার সেটি কার্যকর করা হলো।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে থাকি অথবা দুই রাজ্যে সীমানাবর্তী এলাকায় বসবাস করি অথবা এমন এক অরক্ষিত ও সংবেদনশীল এলাকায় থাকি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কম তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে ছোট ছোট ঘটনা উত্তেজেনার আবহ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। পুড়িয়ে দিতে পারে ঘরবাড়ি। নানা কিছু ঘটতে পারে। একটি থানায় খুবই কম সংখ্যক পুলিশ থাকে। কোনো ঘটনা মোকাবিলায় জেলা থেকে টিম যেতেও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। আর ওই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই পুলিশ যতক্ষণ না আসছে নিজেদের সুরক্ষা করা প্রয়োজন। আর তাই এই ব্যবস্থা চালু করা হলো।’

আরও পড়ুন

অস্ত্রের লাইসেন্স কারা পাবেন এ বিষয়ে রাজ্যটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড আছে কি না, তা দেখা হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ‘শারীরিক এবং মানসিকভাবে’ সুস্থ হতে হবে। এ ছাড়াও, ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণের সনদ থাকতে হবে। তবে, এর আগে গত মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাসিন্দারা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভারতীয়রা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি চালু করা হবে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া জেলাগুলোতে এই নতুন নীতি প্রযোজ্য হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।  তবে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি ধর্মীয়-নিরপেক্ষ উদ্দেশ্য যা আদিবাসী বাসিন্দা, আদিবাসী এবং কমপক্ষে তিন প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাসকারী মানুষকে সাহায্য করবে।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক জাহিদ

রাজশাহীতে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার অনিন্দ্য ৫ দিনের রিমান্ডে

ভোরের দর্পণ পত্রিকার বগুড়া অফিসের স্টাফ রিপোর্টার ইলিয়াসের মায়ের ইন্তেকাল

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর নুতন ধারাবাহিক ‘ফুলগাঁও’তে তারা

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন থানায় নতুন ওসি

র‌্যাব-১৩’র অভিযানে পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ২ জন গ্রেফতার