জুলাই সুসংগঠিত করেন তারেক রহমান
ইসহাক আসিফ : ২৪-এর জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুসংগঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তারেক রহমান হাসিনা হটাও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই আন্দোলনের প্রতিফলন জুলাই-আগস্ট (গণঅভ্যুত্থান) ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক করতোয়া-ঢাকা অফিস পরিদর্শন করেন রবিউল ইসলাম নয়ন। প্রতিবেদক-এর সঙ্গে খোলামেলা আলপাকালে যুবদলকে এগিয়ে নেয়ার ভূমিকাসহ তার মানবিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ নানা পরিকল্পনার কথা তিনি তুলে ধরেন। রবিউল ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভুত্থানকে তারেক রহমান সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, জুলাইকে যদি কোন মানুষ ৭১-এর মতো নিজেদের সম্পদ মনে করে চাঁদাবাজি- ধান্দাবাজি, লুটপাট ইত্যাদি করতে চায়, তাহলে সেটাকে আমরা প্রতিহত করব। রবিউল ইসলাম অনেক সোস্যাল ওয়ার্ক করেন।
এ নিয়ে তিনি বলেন, আমি বিএনপি করি। এটা আর মানুষকে চেনানোর কিছু নেই। মানুষের বিপদ- আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। মানুষ যাতে আমাদের মনে করতে পাওে, এ কথা যোগ করে রবিউল ইসলাম বলেন, যেমন ঢাকায় এখন কোন মানুষ অসুস্থ হলে তারা চিন্তা করেন ঢাকায় আমি আছি অর্থাৎ নয়ন আছে। কোন মানুষ দরিদ্রতায় থাকলে আমার কথা মনে করেন। এই নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। রবিউল ইসলামের গ্রাামের বাড়ি মাগুরায়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মাগুরা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ প্রসঙ্গে রবিউল ইসলাম বলেন, আমি নির্বাচন করতে চাই। কারণ এটার স্বপ্ন আমার এলাকার লোকজন দেখিয়েছেন। তাদের সাথে আমার আগাগোড়া কমিউনেকশন আছে। তিনি মনে করেন, এলাকার লোকজন তাকেই দায়িত্ববান হিসেবে আগামীতে চাচ্ছেন।
জানা গেছে, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা এবং মাগুরা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ সমন্বয়ে মাগুরা-২ আসন। রবিউল ইসলাম জানান, শুধু মোহম্মদপুরে ৭২টি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে, এসব ওয়ার্ডে দলের (বিএনিপ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তারা প্রায় সকলেই নয়নের সমর্থনকারী। রবিউল ইসলাম বলেন, যদি প্রত্যেক ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানার সাজেশন নেওয়া হয়। তাহলে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে আমি এগিয়ে থাকব।
আরও পড়ুনতারেক রহমান যদি তাকে মনোনয়ন দেন। তাহলে তিনি এও মনে করেন, গণসংযোগের জন্য তার এলাকার তিনটি ইউনিটে তিনদিন যেতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে রবিউল ইসলামের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় আমাকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পরে মাগুরায় রবিউল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি দেখেছি হিন্দুরা আলাদা করে স্লোগান দিয়েছেন। তারা বলেছেন ‘হিন্দু- মুসলিম ভাই ভাই। আমাদের কোন বিভেদ নেই। হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই আমাদের নেতা তারেক রহমান।’
হিন্দুরের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা চলে আসছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা (হিন্দু) মনে করছেন, আমার মধ্যে দিয়ে তারেক রহমানের লোক হবেন। যুবদলকে এগিয়ে নিতে সব পদক্ষেপ নিচ্ছি : রবিউল ইসলাম বলেন, যুবদলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিনিয়ত আমরা এলাকার ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানার নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করছি। এলাকার পাড়া মহল্লায়- যেসব যুবকেরা রাস্তার অলিতে-গলিতে বসে থাকে। অথবা লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না। অথবা দলে তারা নিজেদের প্রবেশ করাবে-এটা নিয়ে চিন্তিত থাকে। এই ধরনের যুবকদের আমরা সার্চের মাধ্যমে যুবদলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল অত্যন্ত-সুশৃঙ্খল ইউনিট উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা রিবোধী আন্দোলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের ভূমিকা সারাদেশে প্রশংসনীয়। সারাদেশে যুবদলের যতটি ইউনিট আছে।
এরমধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলে বরিউল ইসলাম মনে করেন। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযোগ প্রশ্নের জবাবও দেন বরিউল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে যদি কেই মনে করে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ। তবে আমি এই সবের (দুর্নীতি, চাঁদাবাজ) আতঙ্কের নাম হব। যোগ করে তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজদের আতঙ্কের নাম নয়ন হোক-এটা নিয়ে প্রাউডফিল করি। কোন সন্ত্রাসীর আতঙ্কের নাম নয়ন হোক-এটা নিয়ে প্রাউড ফিল করি।
একটা দলকে উদ্দেশ্য করে বরিউল ইসলাম বলেন, আমিতো আমার দল করি। দল করতে গিয়ে যেকোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি। স্বৈরাচার হাসিনা আমাকে আতঙ্ক মনে করতো। তার রোষানলে পড়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তারা আমাকে নিয়ে নানা সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার মতো যদি বাংলাদেশে আবার কোন নব্য স্বৈরাচারের জন্ম হতে যায়। তবে, সেই স্বৈরাচারের আতঙ্ক আমি হব। জুলাইকে একটা গ্রুপ বাপ-দাদার সম্পদ মনে করতে চাইছে : গত বছরের ২ আগস্ট প্রসঙ্গ টেনে রবিউল ইসলাম বলেন, এই দিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল চতুরদিক থেকে স্বৈরাচার হাসিনার পেটুয়াবাহিনীকে অ্যাটাক করে। আমরা সেগুনবাগিচা থেকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে করতে শাহবাগ গিয়ে অবস্থান নেই। কোন পুলিশ প্রশাসনের রাইফেলের গুলি আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, কিন্তু জুলাইকে একটা গ্রুপ নিজেদের সম্পদ। নিজেদের বাপ দাদার সম্পদ হিসেবে প্রচার করতে চায়। এবং সেটা তারা মনে করে। আমি তাদেরকে নিহাত বোকা মনে করি। এদের নিয়ে মাইন্ড করিও না। কারণ এক বছরের শিশু বাচ্চা যদি প্রসাব করে দেয়। এটা নিয়ে মাইন্ড করার কিছু নেই। জুলাই সারাদেশের সকল নাগরিকের। জুলাই সারাদেশের প্রত্যেক বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধার।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক








