বড়লেখায় মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ৬, চোরাই মালামাল উদ্ধার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় দুটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে মন্দির থেকে চুরি হওয়া বিভিন্ন মালামাল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকালে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।
পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন রাতে বড়লেখা পৌরসভার পাখিয়ালা এলাকার শ্রী শ্রী উদ্ভব ঠাকুরের আখড়ায় চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৩ জুন মন্দির কমিটির সভাপতি মঞ্জু লাল দে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। এরপর গত ২৬ জুন রাতে একই উপজেলার দক্ষিণভাগ সার্বজনীন দেবস্থলী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা মন্দিরের বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৭ জুন বড়লেখা থানায় মন্দির কমিটির সভাপতি থানায় মামলা করেন। এরপর দুটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুনঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা বলেন, ‘অভিযানে প্রথমে রুহেল আহমদকে দক্ষিণভাগ বাজারের রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্য পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে বড়লেখার মাধবগুল এলাকার শাহ আলীর ভাঙারির দোকান থেকে এবং অন্য আসামিদের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া মন্দিরের মালামাল উদ্ধার করা হয়। নুর হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি কাটার, একটি হেমার, তিনটি হাতুড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মন্দিরের ১১টি পিতলের ঘট, দুটি ঘণ্টি, দুটি পুষ্প থালা, পিতলের একটি প্রদীপ, আটটি কাঁসার থালা, পাঁচটি কাঁসার বাটি, একটি পিতলের কলসি উদ্ধার করা হয়। এসব মালামাল দুটি মন্দিরের প্রতিনিধিরা নিজেদের বলে শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে মন্দিরে চুরির ঘটনায় কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানির প্রমাণ মেলেনি। এটি কেবলই চুরির ঘটনা। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।’
মন্তব্য করুন