ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত।

উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরনের রায় তারা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার পর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি’র মহাসচিব ভার্চুয়ালি গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এটাতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে। আমরা জানি যে যখন মেয়র নির্বাচন হয় তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি করে এই ফলাফল কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিল।’ ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব যে মন্ত্রণালয়ে আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতি সহজ করে তোলার চেষ্টা করবেন।’

রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট দূর করার একটিমাত্র পথ, তা হচ্ছে, অতিদ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই। কারণ সংস্কারের যে বিষয়টা আছে, সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রোপজ করবে, যারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আছে, তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো, যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’

আরও পড়ুন

নেতাকর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি যে যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে। এখন আর এই বিষয়টাকে সেইভাবে সড়ক অবরোধ করে না রেখে জনগণের স্বস্তির জন্য তারা রাস্তা থেকে সরে যাবেন। আশা করা যায় যে সরকারের সুমতি হবে, তারা ইশরাককে শপথ দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন।’

গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপির মহাসচিব ব্যাঙ্কক যান। পরদিন ব্যাঙ্কক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাঁ চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে 

৩১ মে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী

গোপালগঞ্জ কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু

কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৭ জনকে পুশইন বিএসএফের

খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৫ জনকে বিএসএফ এর পুশ ইন

কটিয়াদীতে ১৯ মামলার আসামী মিজান ইয়াবাসহ গ্রেফতার