চাঁপাইনবাবগঞ্জে চীনা রাষ্ট্রদূত বাগান পরিদর্শন করে আম আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় একটি আমবাগান পরিদর্শন করে আম আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা সোয়া ২টার দিকে তিনি নাচোল পৌঁছে ফতেপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া ঘাসুড়া গ্রামে স্থানীয় আম উৎপাদন এবং রপ্তানিকারক রফিকুল ইসলামের বাগানে যান। প্রায় ৩শ’ বিঘা আয়তনের অতি ঘন গাছে আম উৎপাদন (আল্ট্রা হাই ডেনসিটি) পদ্ধতির এই বাগানে লেট ভ্যারাইটির বারি আম-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা, বারমাসি কাটিমন, আম্রপালিসহ প্রায় ২৫ রকম আম উৎপাদিত হয়।
কয়েক বছর যাবৎ উৎপাদক রফিকুল ইসলাম তার কয়েকজন ব্যবসায়িক সহযোগী নিয়ে ‘ফার্মি এগ্রো’ ব্রান্ড নামে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে উৎপাদিত আম রপ্তানি করছেন। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাগানে কিভাবে আম উৎপাদন হয় তার বাস্তব অবস্থা দেখতে তিনি এসেছেন। উৎপাদনের সার্বিক দিক জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাকে কাটিমন জাতের পাকা আম কেটে খাওয়ানো হলে তিনি প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ থেকে চীনে আম নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। তিনি বাংলাদেশের আম প্রক্রিয়াজাত নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিমানে রপ্তানি খরচ বেশি হওয়ায় জাহাজে আম নেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুনরাষ্ট্রদূতের স্ত্রী, দুতাবাস কর্মকর্তারা এবং একজন চীনা আমদানিকারক সফরকালে রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন। তাকে অভ্যর্থনা জানান নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এম. ওয়াহেদুজ্জমান, নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সলেহ আকরাম, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম, উৎপাদক রফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় অন্যান্য আম উৎপাদক ও বাগানীরা। বিকেল ৩টার দিকে রাষ্ট্রদূত নাচোল ত্যাগ করেন।
মন্তব্য করুন