ভিডিও বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ধুনটে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ 

ধুনটে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ, ছবি: সংগৃহীত

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি কে.ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গোসাইবাড়ি এ.এ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেনা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ কারণে পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একযোগে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার রুটিন সরবরাহ করা হয়েছে। সেই রুটিন মোতাবেক বিদ্যালয়গুলোতে ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই পরীক্ষা শেষ হবে ৫ ডিসেম্বর।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রের আলোকে ১০ নভেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী সই করা এক পত্রে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিজেরাই প্রণয়ন করার জন্য বলা হয়েছে। কেনা প্রশ্নপত্রে কোন শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। একই পত্রে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আজও কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেননি। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেনা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, কেনা প্রশ্নপত্রের কারণে পরীক্ষা ভালো হচ্ছে না। কারণ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সাথে প্রশ্নপত্রের মিল নেই। সবারই প্রায় বেশিরভাগ প্রশ্ন কমন পড়েনি। এতে পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যায়ের আশঙ্কা রয়েছে।

অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকদের এমন দায়িত্বহীনতা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। নিজেদের স্কুলে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন করতে পারতেন। এছাড়াও কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার ফলে প্রশ্ন ফাঁসেরও আশঙ্কা থেকেই যায়।
গোসাইবাড়ি কে.ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে নিজেদের প্রশ্নপত্র তৈরি করা সম্ভব হয়নি। একারণে কেনা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

গোসাইবাড়ি এ.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করলে প্রশ্ন ফাঁস হয়, কোন গোপনীয়তা থাকে না। এ কারণে কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। তবে কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বর্তমানে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা

এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে : সুপ্রিম কোর্ট

সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে ভারতীয় রুপির মান

প্রতিপক্ষের জালে বার্সা’র গোল উৎসব

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত