বগুড়ার দুই ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, হজে যেতে পারেননি ১১ জন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুর উপজেলার সাতজন ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় চারজনসহ ১১ জন হজযাত্রী আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস ও হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে এবার হজে যেতে পারেননি। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি হজযাত্রীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ করে টাকা নিলেও নিবন্ধন, ভিসা ও টিকিটের কোনো ব্যবস্থা না করায় হজে যেতে না পেরে, শেরপুর উপজেলার দোয়ালসারা এলাকার শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত ২৩ মে শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা প্রসাশক বরাবর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার সাতজন ও নন্দীগ্রাম উপজলোর চারজন এক সঙ্গে হজে যাওয়ার জন্য আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর তারা প্রত্যেকে পাঁচ লাখ টাকা করে কোম্পানিকে প্রদান করেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত সময়ে হজের ভিসা, টিকিট না পেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোম্পানিটি বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তিতে তারা যেতেই পারেননি।
ভুক্তভোগী বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের হেলাল উদ্দীন, হাফেজ মজনু মিয়া, মাহবুবুল আলম এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হোসিয়ারপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বারবার ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করায় আমরা হজে যেতে পারিনি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। এখন তারা ফোনও ধরছেন না।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস ও হাসিনা এয়ার ট্রাভেলসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মোবাইলে জানান, তারা ১১ জন হজযাত্রীকে এক জায়গা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রান্সফার করে আনার কথা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রান্সফার করতে না পারায় এবার হজে আনতে পারেননি। এজন্য তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রসাশক হোসনা আফরোজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন