বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হত্যা মামলার দু’বছর পর লাশ উত্তোলন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়ায় হত্যা মামলার প্রায় দু’বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমার উপস্থিতিতে হত্যার শিকার রবিন ওরফে নূরনবী (১৯) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
এই মামলায় উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য এড. নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। লাশের প্রাথমিক ভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্ট মোর্টেমের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানায় উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল জোব্বার এর স্ত্রী রওশন আরা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়ার মৃত আব্দুল জোব্বারের ছেলে রবিন ওরফে নূরনবীকে মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে গত ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড. নুরুল ইসলাম তালুকদারের মাস্টারপাড়ায় ভাড়া বাসায় তাকে ডেকে এনে মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে অভিযোগে মারপিট করে আহত করা হয়।
আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর মারা যায়।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে তার মা রওশন আরা বাদি হয়ে বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (দুপ:) স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এড. নুরুল ইসলাম তালুকদার, তার ছেলে জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্সসহ ৯জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা নিয়মিত গ্রহণের জন্য দুপচাঁচিয়া থানায় প্রেরণ করেন। গত ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হয়।
এদিকে আদালতের নির্দেশেই আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রবিন ওরফে নূরনবীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম জানান, মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি জয়পুর দক্ষিণপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আসলাম (৩০), মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৩) ও হাটসাজাপুর উত্তরপাড়ার গোলে ওরফে গোলাম মোস্তফার ছেলে রানা ওরফে মাসুদ রানা (২৭) কে ইতিপূর্বে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে।
মন্তব্য করুন