লুন্ঠিত মটরসাইকেলসহ টাকা উদ্ধার
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে লুট করার ঘটনায় চারজন গ্রেফতার

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার সঞ্জয়পুর গ্রামের গৃহকর্তা সুজন ফকির (৩৫) ও তার স্ত্রীকে বেঁধে রেখে ডাকাতরা মোটরসাইকেল, সোনার গহনা ও টাকা লুট করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ভোরে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ লটকৃত মোটরসাইকেল, টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের সঞ্জয়পুর গ্রামের মৃত মজনু ফকিরের ছেলে সুজন ফকির (৩৫) গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ২টায় তার স্ত্রী স্বামীকে ডেকে তোলেন। তার স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে বাহির হতেই অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন তাদেরকে ঘিরে ধরে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এলোপাথারি মারপিট করে।
দুর্বক্তরা স্বামী-স্ত্রী বেঁধে মুখে স্কচটেপ দিয়ে পুনরায় ঘরে নিয়ে গিয়ে খাটের ওপর ফেলে রাখে। এরপর ঘরে রাখা সুজন ফকিরের মোবাইল, এক লাখ তিন হাজার টাকা, সোনার গহনা, মোটরসাইকেল (নং-বগুড়া-হ-১৬৮০১৯) নিয়ে চলে যায়।
পরে গৃহকর্তা সুজন ও তার স্ত্রী হাতের বাঁধন ও মুখের টেপ খুলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন। দুস্কৃতকারীদের লাঠির আঘাতে আহত মিমকে (স্ত্রী) দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সুজন ফকির বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনপুলিশ মামলা গ্রহণ করেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদেরকে শনাক্ত করার পাশাপাশি গ্রেফতারে অভিযানে নামে। গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় সঞ্জয়পুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে তোতা প্রামানিককে (৪২) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি অপর আসামি উপজেলা সদরের ধাপসুখানগাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে ওমর ফারুক ওরফে ওমল (৩৮), তালোড়া নওদাপাড়া গ্রামের নবাব আলী প্রামানিকের ছেলে জুয়েল (২৫) ও কইল মধ্যপাড়া গ্রামের আজিজুল সাখিদারের ছেলে মেহেদী হাসান আকাশকে (২২) গ্রেফতার করে।
পুলিশ তাদের হেফাজত থেকে লুট করা ৫ হাজার টাকা, ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে দস্যুতার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে গতকাল রোববার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন