ফরিদপুরে ক্যারাম খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৯

ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সালথার রামকান্তপুর ইউনিয়নের দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ওসমান তালুকদার, আর অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন কুদ্দুস তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন দিন আগে রামকান্তপুর গ্রামের একটি বাজারে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে স্থানীয় ওসমান তালুকদারের সমর্থক রাকিব নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস তালুকদারের সমর্থক লায়েক নামে আরেক তরুণের মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কেরাম বোর্ডটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে ওই দুই তরুণের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা সকাল ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র—ঢাল-কাতরা, টেটা, সড়কি, ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারধর ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় চারটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনখবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন