ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শাহজাহানপুর শ্লীলতাহানির চেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষককে গাছের সাথে বেঁধে রাখলো গ্রামবাসী

বগুড়ার শাহজাহানপুর শ্লীলতাহানির চেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষককে গাছের সাথে বেঁধে রাখলো গ্রামবাসী। প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার : পানি পড়া দেওয়ার নামে নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিলো গ্রামবাসী। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা না করায় পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় ওই শিক্ষককে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের নারচি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রামবাসীর হাতে আটক ব্যক্তির নাম আব্দুল ওয়ারেছ (৫৫)। তিনি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ফলিয়া পাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং বগুড়া শহরতলীর সাবগ্রাম ঘুনিয়াতলা সামছুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে নারচি গ্রামে গিয়ে একটি বাড়িতে ১০ জন নারীকে সমবেত করেন। ওই দুই ব্যক্তি ১০ জন নারীকে একত্রিত করে হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তাদের মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করলে উপস্থিত নারীরা ২৫০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর আটক ব্যক্তি একটি ঘরে বসে নারীদেরকে পানি পড়া, তেল পড়া ও ঝাড়ফুঁক দেওয়া শুরু করেন।

দুই নারীকে তেল পড়া দেওয়ার পর অপর এক নারী পানি পড়া নেয়ার জন্য একগ্লাস পানি নিয়ে ঘরে যান। আব্দুল ওয়ারেছ সেই পানি পান করে আরো এক গ্লাস পানি আনতে বলেন। ওই নারী আরো এক গ্লাস পানি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে তাকে চোখ বন্ধ করে থাকতে বলেন। ওই নারী চোখ বন্ধ করলে আব্দুল ওয়ারেছ প্রথমে নারীর কপালে হাত বুলিয়ে দেন।

আরও পড়ুন

এরপর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই নারী  চিৎকার দিলে একজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন নারী আব্দুল ওয়ারেছকে আটক করে। পরে গ্রামের লোকজন এসে তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল ওয়ারেছকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারীসহ গ্রামের লোকজন থানায় এসেছিল। তারা কেউ মামলা করবে না মর্মে লিখিত দেন। পরে আব্দুল ওয়ারেছের ভাই টুকু মিয়া থানায় আসলে তার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিশ রক্ষায় পুলিশ, নৌ-বাহিনী ছাড়াও বিমানবাহিনী ড্রোন দিয়ে কাজ করবে: মৎস উপদেষ্টা

সব স্বাভাবিক হলেই ১৪৪ ধারা তুলে নেয়া হবে: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক

বগুড়ার শেরপুরে টানা বৃষ্টিতে মহাসড়ক ও বসতবাড়িতে হাটু পানি

মাদরাসায় পড়েছি, এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: ধর্ম উপদেষ্টা

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা 

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কাশফুল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়