রেলওয়ের কারখানায় অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে দুদকের ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হামিদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, দুটি অভিযোগে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবে একটি অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
প্রথম অভিযোগ ছিল কারখানার ময়লার সঙ্গে রেলের অব্যবহৃত যন্ত্রাংশ (স্ক্র্যাপ) পাচারের বিষয়ে। তদন্তে দেখা যায়, ময়লার সঙ্গে স্ক্র্যাপ রাখা হয়েছিল এবং মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণে সেগুলো বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল। এ ঘটনায় গাড়িচালক রাসেল ও তাঁর সহযোগীকে বহিষ্কার করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগ ছিল লাইট সরবরাহ নিয়ে। ১ হাজার ২৮৪টি নতুন লাইট দেওয়ার কথা থাকলেও ৪৮৪টি ছিল পুরনো। ডিপো ইনচার্জ নাছির উদ্দিন বিষয়টি কর্মকর্তাদের না জানিয়ে গ্রহণ করেন। রেলওয়ের তদন্তে এ অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনতৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছিল, রেলওয়ের জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক সাজ্জাদ ইসলাম অতিরিক্ত স্ক্র্যাপ বিক্রি করেছেন। অভিযোগে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৬০ টন স্ক্র্যাপ জব্দের কথাও বলা হয়। তবে দুদকের তদন্ত ও রেলওয়ের তিন সদস্যের কমিটি এ ঘটনার কোনো প্রমাণ পায়নি।
হামিদ রেজা বলেন, রেলওয়ের দেওয়া নথি যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে।
মন্তব্য করুন