বগুড়ার সারিয়াকান্দি পর্যটন নগরী হওয়ার অপার সম্ভাবনা, চাই সরকারি উদ্যোগ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া সারিয়াকান্দি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে ওঠার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতেই বছরে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটে এই উপজেলায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দৃষ্টিনন্দন শোভাবর্ধক বৃক্ষ, পিকনিক স্পষ্ট এবং পর্যটকদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে সারিয়াকান্দি হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, এ ধারণা এলাকাবাসীর।
বগুড়া সারিয়াকান্দির ওপর দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা যমুনা নদী। বর্ষাকালে এ নদী উপজেলার বিভিন্ন জনপদে ভাঙন সৃষ্টি করে। তাই যমুনা নদীর ভাঙন থেকে এ জনপদকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্পার এবং গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্থাপনাগুলো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
এগুলো হলো-হাসনাপাড়া স্পার, কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ, প্রেম যমুনার ঘাট এবং মথুরাপাড়া স্পার। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থাপনা হচ্ছে কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ। পর্যটকরা এখানে স্পারের সৌন্দর্য এবং যমুনা নদীর অপরুপ সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করতে পারেন। ফলে প্রতিবছর এখানে লাখ লাখ পর্যটকদের আগমন ঘটে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ছুটির দিনে এখানে পর্যটকদের চাপে তিল ধারনের মতো কোনও জায়গা ফাঁকা থাকে না।
যানবাহনের চাপে প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং গ্যারেজে জায়গা না হওয়ায় অনেক সময় আশেপাশের বাড়িগুলো মিনি গ্যারেজে পরিণত হয়। গত প্রায় একমাস আগে এ গ্রোয়েন বাঁধ এলাকার দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। উচ্ছেদ করলেও জায়গাগুলো এখনো ফাঁকা অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে এখনো কোনও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়নি এবং উচ্ছেদ দোকানীদের পুনর্বাসনের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুনএলাকাবাসী বলছেন, কালিতলা গ্রোয়েনবাঁধের সম্প্রতি উচ্ছেদকৃত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শোভাবর্ধক বৃক্ষ এবং ফুলগাছ রোপণ, পর্যটকদের জন্য বেঞ্চ এবং ছাতা নির্মাণ, পিকনিক স্পট নির্মাণ, উচ্ছেদ দোকানীদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত ওয়াশ ব্লক নির্মাণ প্রভূতি কাজগুলো সরকারি সহায়তায় করা প্রয়োজন। এটি করলে এ পর্যটন স্পটটি সারাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠবে এবং এর গুরুত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ আমাদের সারিয়াকান্দির একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠেছে। যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ঘুরতে আসেন। গত কয়েকদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু সেখানে কোনও সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ করেনি। কিংবা উচ্ছেদ দোকানীদের পুনর্বাসনের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ এলাকায় সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ সম্পন্ন করার জন্যই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খুব শিগগরই সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে পর্যটকদের বসার জন্য ছাতাসহ বেঞ্চ নির্মাণ এবং সৌন্দর্য র্ধনের আনুষঙ্গিক কাজ ও শোভিত বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন