দেশে থাকলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো
_original_1757249266.jpg)
অনেক দিন হলো দেশ ছেড়েছেন ঢালিউড অভিনেতা আহমেদ শরীফ। দেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ন্যূনতম আক্ষেপ নেই এই অভিনেতার। নিজ দেশ ছেড়ে পরবাসী হওয়ার কারণ কী? তিনি দায়ী করেছেন কাজের অভাবকে।
ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার এফডিসিতে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল। প্রয়াতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন পুরাতন শিল্পীদের অনেকে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খলনায়ক আহমেদ শরীফ। দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশে থাকলে তাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো।
ঢালিউডের শিল্পীদের এখন কাজের অভাব। বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র। আহমেদ শরীফের মতে, শিল্পীদের অনেকে এখন ঠিক মতো দুবেলা খেতেও পারেন না। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে যে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতে হবে নেই। মিথ্যা নয়। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন।
আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। দেশেরবাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশে থাকলে তার কী পরিণতি হতো, সে প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও।’
আরও পড়ুনঅনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক।
সরকারের কাছে আহমেদ শরীফের প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামীতে যদি আমি দেশে আসি, সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য একটা নিশ্চিন্ত জীবন চাইবো। শিল্পীরা যেন একটা ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পায়।
আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হারানো দিনের সিনেমা থেকে আধুনিক, প্রায় সব সিনেমায় তাকে পাওয়া যেত খলনায়ক হিসেবে। সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন