বগুড়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের কবর পাকাকরণের কাজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বগুড়ার ১৫ শহিদের সমাধি পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। বগুড়া জেলা পরিষদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১০ জুলাই ও ১৩ জুলাইয়ের কার্যবিবরনী অনুযায়ী জেলা পরিষদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
বগুড়া জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ ও জাতির স্বার্থে আত্মদানকারী ব্যক্তিগণকে জুলাই শহিদ হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। জুলাই শহিদদের সমাধি পাকাকরণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। বগুড়া শহরের নামাজগড় কবরস্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৩ শহিদের কবর রয়েছে। এছাড়াও বগুড়ার যেখানে যেখানে জুলাই শহিদদের কবর রয়েছে সেখানেই পাকাকরণ করা হবে। ইতোমধ্যে এই কাজ শুরু হয়েছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জে যে ২ শহিদের কবর ইতোমধ্যে বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ মীর শাহে আলমের উদ্যেগে পাকা করা হয়েছে সেই ২ টি বাদ দিয়ে বাকী ১৩ কবর পাকা করণ করা হচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাাহে আলম দৈনিক করতোয়া’কে জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বগুড়া শিবগঞ্জের ২ জন শহিদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন মো. সেলিম মাস্টার অন্য জন হলেন মো. রনি।
সেলিম মাস্টারের কবর রয়েছে বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের তালিকান্দায় এবং রনির কবর রয়েছে পিরব ইউনিয়নের পঞ্চদমে। তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে দুই শহিদের কবর পাকা করে দিয়েছেন। শহিদদের আত্মত্যাগের কথা যাতে কেউ ভুলে না যায় সেজন্য শহিদ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তিনি পাকা করে দিয়েছেন। কবর দেখলেই যাতে মানুষের মনে গণঅভ্যুত্থানের কথা মনে হয় সে জন্য কবর পাকা করা হয়েছে।
এদিকে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নামাজগড় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে নামাজগড় কবরস্থানে কবর পাকাকরণ করতে যে ফি দিতে হয় তা মওকুফ করার জন্য অনুরোধ জানান হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গোরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নয়ন জানান, গত ১৮ আগস্ট জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক পত্রে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন।
আরও পড়ুনএর আগে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা গোরস্থান পরিদর্শন করেছেন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে ঠিকাদার সমাধি পাকারণ কাজ শুরু করেছে। তিনি জানান নামাজগড় গোরস্থানে জুলাই শহিদ সিয়াম শুভ, মো. জুনাইদ ইসলাম রাতুল এবং মো. শিমুলের কবর রয়েছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা দৈনিক করতোয়া’কে জানান, মহান জুলাই গনঅভ্যুত্থানে দেশ ও জাতির স্বার্থে আত্মদানকারী ব্যক্তিগণকে জুলাই শহিদ হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বগুড়ার নামাজগড় কবর স্থানে ৩ জন শহিদের কবর রয়েছে।
জুলাই শহিদদের স্মৃতি ধারণ ও সংরক্ষেণের জন্য সরকারিভাবে শহিদদের সমাধি পাকাকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ এটি বাস্তবায়ন করছে। শিবগঞ্জে বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম আগেই দুই শহিদের কবর পাকা করণ করায় এই প্রকল্পের আওতায় ওই দুটি কবর পাকা করা হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন