নওগাঁর আত্রাইয়ের নার্সারীখ্যাত মধুগুড়নই গ্রাম চারিদিকে সবুজের সমারোহ

মুজাহিদ খান, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নার্সারীখ্যাত মধুগুড়নই গ্রামের অর্ধশতাধিক লোক নার্সারী ব্যবসার সাথে জড়িত। বীজ থেকে চারা উৎপাদন, গাছের কান্ড থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ তৈরিসহ নানা কৌশলে তারা সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তাদের নার্সারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ বাড়ির উঠানে, কেউ বাড়ি সংলগ্ন পতিত জমিতে, কেউ আবার অন্যের জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন নার্সারী। আম, জাম, লিচু, লেবু, পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছে পরিপূর্ণ এসব নার্সারী। গ্রাম জুড়ে গড়ে উঠেছে যেন সবুজের সমারহ।
মধুগুড়নই গ্রামের নার্সারী মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের এখান থেকে চারা সংগ্রহের জন্য নওগাঁর রাণীনগর, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিংড়া ও রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারা আসেন। একই গ্রামের মোস্তফা বলেন, গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে সবাই আরও স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
আরও পড়ুনআনোয়ার হোসেন বলেন, এসব চারা বিক্রি করেই সংসারের ব্যয়ভার বহন করি। বছরের জৈষ্ঠ্য থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত ভাল ব্যবসা হলেও অনান্য মাসে একরকম প্রহর গুণতে হয়। আম গাছের চারা কিনতে আসা ফজলুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, মধুগুড়নইয়ের চারার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। অন্যান্য স্থানের চারার তুলনায় এখানকার চারা দ্রুত বেড়ে উঠে।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নার্সারী গড়ে উঠেছে। সার্বক্ষণিক এসব নার্সারী মালিকদের ভাল চারা উৎপাদনে পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষি মেলাসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে তাদের সম্পৃক্ত করে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উৎপাদিত চারা যেন পোকার আক্রমণে বিনষ্ট না হয় সে জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।
মন্তব্য করুন