এক মৌসুমেই পিএসজির বাজারমূল্য বেড়েছে ২২৬ মিলিয়ন ইউরো

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজয় সত্ত্বেও ২০২৫ সালটি ছিল পিএসজির জন্য সাফল্যমণ্ডিত এক মৌসুম। আর এই ক্রীড়াভাগ্যই শুধু নয়, লুইস এনরিকের কোচিংয়ে দলটি আর্থিক দিক থেকেও হয়ে উঠেছে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
বিশ্বখ্যাত ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পিএসজির দলগত বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১.১৫ বিলিয়ন ইউরো, যা গত জানুয়ারির তুলনায় বেড়েছে ২২৬ মিলিয়ন ইউরো। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া দল এখন পিএসজি।
এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ২০ বছর বয়সী ফরাসি তরুণ দেজিরে দুয়ের। লুইস এনরিকের অধীনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তিনি নিজের বাজারমূল্য বাড়িয়ে এনেছেন ৪০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে-যা ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধির সমান।
তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অন্যান্য তরুণ সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের, যেমন:
আলেকজান্ডার ইসাক (+৪৫ মিলিয়ন ইউরো)
ডিন হাউসেন (+৪২ মিলিয়ন ইউরো)
পেদ্রি (+৪০ মিলিয়ন ইউরো)
মাইকেল ওলিসে (+৩৫ মিলিয়ন ইউরো)
পিএসজির আরেক ফরাসি তারকা উসমান দেম্বেলেও ছিলেন ২০২৫ সালের অন্যতম সেরা পারফর্মার। জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ৩৪ গোল করে তিনি নিজের বাজারমূল্য বাড়িয়েছেন ৩৫ মিলিয়ন ইউরো, বর্তমানে যার মূল্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো।
২০২৩ সালে বার্সেলোনা থেকে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ইউরোয় পিএসজিতে আসা দেম্বেলে এখন ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট।
আরও পড়ুনপিএসজির বাকি তারকারাও পিছিয়ে নেই। দলের আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে-
ভিতিনিয়া: +২৫ মিলিয়ন ইউরো → এখন ৮০ মিলিয়ন
উইলিয়াম পাচো: +২৫ মিলিয়ন ইউরো → এখন ৬৫ মিলিয়ন
আশরাফ হাকিমি: ৬০ → ৮০ মিলিয়ন
হোয়াও নেভেস: ৬০ → ৮০ মিলিয়ন
নুনু মেন্দেস: ৫৫ → ৭০ মিলিয়ন
এছাড়া কিছু তরুণ এবং নতুন যোগ দেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যেও মূল্যবৃদ্ধি লক্ষণীয়:
সেনি মায়ুলু: ৫ → ১৫ মিলিয়ন
খিচা কাভারাস্কেইয়া: ৮০ → ৮৫ মিলিয়ন
ব্রাদলে বারকোলা: ৭০ → ৭৫ মিলিয়ন
জানলুইজি দোন্নারুম্মা: ৩৫ → ৪০ মিলিয়ন
ফাবিয়ান রুইস: ৩৫ → ৪০ মিলিয়ন
ইব্রাহিম এমবায়ে: ২ → ৩ মিলিয়ন
সামগ্রিকভাবে পিএসজির স্কোয়াড হয়ে উঠেছে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মূল্যবান ও ধারাবাহিক পারফর্মিং ইউনিট।
মন্তব্য করুন