বগুড়ার ধুনটে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় জুন ক্লোজিংয়ের নামে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণের অধিক বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। বিগত সময়ে প্রতিমাসে যে বিল আসত ৫০০ টাকা, চলতি মাসে লাফিয়ে সে বিল উঠেছে এক হাজার ৫০০ টাকায়। গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় ব্যক্তির অবহেলা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেই এমনটি হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লক্ষাধিক গ্রাহক রয়েছে। অধিকাংশ গ্রাহকই জুন মাসে ভৌতিক বিলের ফাঁদে পড়েছেন। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। এটাকে ভৌতিক বিল বা ভুতুরে বিল বলে আখ্যায়িত করছেন গ্রাহকরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও খুব বেশি প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
পৌর এলাকার জাকির হোসেন বলেন, প্রতি মাসে কারেন্ট বিল আসত এক হাজার থেকে-১২শ’ টাকা। কিন্তু জুন মাসে বিল এসেছে ৫ হাজার টাকার অধিক। খবর নিয়ে দেখলাম প্রতিটা পরিবারের কারেন্ট বিলের একই অবস্থা। আগের চেয়ে দ্বিগুণ, তিন গুণ। হঠাৎ কেন এমন হলো জানি না। তবে বিদ্যুত অফিসে গিয়েছিলাম অভিযোগ করার জন্য, ওরা বলে গরম বাড়ছে, ফ্যান চললে বেশি বিল আসে। তারে কারেন্ট খায়। আবার জুন ক্লোজিং। এসব অনেক কারণ দেখালো। আবার বলল মিটার পরীক্ষা করতে দেন। ওটা করতেও নাকি সময় লাগবে।
আরও পড়ুনপল্লী বিদ্যুত অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি বছর জুন ক্লোজিংয়ের সময় অন্য মাসের চেয়ে বিল একটু বেশি হয়। এছাড়া হয়তো আগের মাসে বিল কম ধরা হয়েছে তাই এ মাসে বেশি বিল এসেছে, মিটারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে।
পল্লী বিদ্যুতের ধুনট জোনাল অফিসের এজিএম রাশেদুল হাসান মুরাদ বলেন, মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল করা হয়েছে। অস্বাভাবিক বিল এসে থাকলে মিটারে সমস্যা থাকতে পারে। এমন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল হলে ভুক্তভোগী গ্রাহককে অফিসে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। মিটার পরীক্ষাসহ মিটারের আগের ও পরের ব্যবহৃত ইউনিট দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন