বগুড়ায় লিচু বেচাকেনায় তুঘলকি কান্ড

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় লিচু বিক্রি নিয়ে চলছে তুঘলকি কান্ড। শহরের লিচু বিক্রেতারা হাজার বা শ’ হিসেবে লিচু কিনে এনে তা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আবার অনেক বিক্রেতা শ’ হিসেবেই লিচু বিক্রি করলেও চড়া দাম নিচ্ছেন।
লিচু বেচাকেনায় এমন কান্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, কেজি হিসেবে লিচু কিনতে বাধ্য করছেন বিক্রেতারা। ৫০টি লিচুর দামে আধাকেজি লিচু কিনে মিলছে ৩০-৩৫টি লিচু। আর ১শ’ লিচুর চেয়ে এক কেজি লিচুর দাম কিছুটা কম হলেও এক কেজি লিচুতে মিলছে ৭৫-৮০টি লিচু। আজ রোববার (১ জুন) শহরের কাঁঠালতলা, সাতমাথাসহ বিভিন্ন লিচু বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোম্বাই জাতের লিচু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আর প্রতি শ’ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা।
চায়না থ্রি লিচু প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ আর আকার ও মানভেদে প্রতি শ’ ১৪শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, মোজাফ্ফরি লিচুর কেজি ৬০০ টাকা, তবে এই জাতের লিচু শ’ হিসেবে বিক্রিতে নারাজ বিক্রেতা। অপরদিকে বেদেনা জাতের লিচু প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং প্রতি শ’ লিচু এক হাজার টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এসব দোকানীরা ৫০ ও ১শ’টি করে বেঁধে রাখা লিচুর বোঝা কেচি দিয়ে কেটে কেটে কেজি হিসেবে তা বিক্রি করছেন।
বগুড়ায় বিগত বছরগুলোতে শ’ বা হাজার হিসেবে লিচু বিক্রি হলেও সাম্প্রতিক কেজি হিসেবে লিচু বিক্রি হচ্ছে। শ’ চেয়ে কেজির দাম অর্ধেক। এতে বিক্রেতারা লাভবান হলেও ঠকছেন ক্রেতারা। আবার অনেক বিক্রেতা বাধ্য করছেন কেজি হিসেবে লিচু কিনতে। শ’ হিসেবে লিচু চাইলে দাম হাকছেন দ্বিগুণ। বিক্রেতাদের দাবি, এবছর লিচুর উৎপাদান ও আমদানি কম, তাই দামও বেশি।
আরও পড়ুনতারা ৫০ বা একশ’টি করে লিচু বেঁধে বিক্রি করেন, এর কমে লিচু বিক্রি করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বেশি দামে লিচু কিনতে পারেন না। সেই হিসেবে কেজি দরে লিচু বিক্রি করলে অনেকেই অল্প টাকায় ফলের স্বাদটি নিতে পারছেন।
ক্রেতারা ঠকছেন কিনা জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, একটু কমবেশি হয়। জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, লিচু বিক্রিতে ওজন পদ্ধতি ব্যবহার করায় ক্রেতারা ঠকছেন এমন অভিযোগ তার দপ্তরে এসেছে। ফলটি বিক্রিতে এমন পদ্ধতি বন্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মন্তব্য করুন