ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত সজিনা ফুল

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত সজিনা ফুল

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ঋতু বৈচিত্র্যের এ দেশে একেক ঋতুতে একেক রুপ ধারণ করে হাজির হয় প্রকৃতি। তাই ঋতু পরিক্রমায় বসন্তের আগমনের জানান দিচ্ছে সজিনা ফুল। গাছে গাছে শিমুল-পলাশ ফুলের সাথে সজিনা ফুলগুলো প্রকৃতিকে সাজিয়েছে আপন মহিমায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা শহরসহ গ্রামাঞ্চল।

চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে শত শত সজিনা গাছের ডাল বসতবাড়ি, রাস্তার ধারে রোপণ করে অনেকেই বাড়তি অর্থ আয় করেন। বসতবাড়ির আনাচে-কানাচেসহ রাস্তার ধারে থাকা সজিনা গাছগুলো থোকায় থোকায় সাদা ফুলে ভরে উঠেছে। ফুলের গন্ধে মৌ-মৌ করছে চারিপাশ। প্রতিটি গাছের ডালের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ফুলে ফুলে ভরে গেছে। আগে সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তারপর পাতাশুন্য গাছের ডালে থোকায় থোকায় সাদা ফুলের শোভা অবলোকন করে সকলেই মোহিত হয়। সজিনা অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। যা অলৌকিক গাছ হিসেবে পরিচিত।

উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মাওলানা আকরাম হোসেন ও ছাবেরউদ্দিন বলেন, এখন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে সজিনা চাষ করে হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। প্রথমদিকে সজিনার দামটা একটু বেশি থাকলেও তা পরে কমতে শুরু করে। শুধু গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে নয়, শহরের লোকজনের কাছেও সজিনা ডাঁটার বেশ কদর রয়েছে। সজিনা পাতা ও ফুল নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর খাদ্য। দীর্ঘদিন ধরে এ গাছের ছাল ও পাতা ঔষধি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে সজিনা বাগান রয়েছে। আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের একটি গ্রামকে সজিনা গ্রাম বলা হয়ে থাকে। সজিনার গুণাগুনও প্রচুর। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। অনেকে সজিনা পাতা রস করে খাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়

শ্রমিকদলের আয়োজিত সমাবেশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অংশগ্রহণ