টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়ার আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু ক্ষেত

স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকৃতিতে শরৎকাল চললেও এবার বৃষ্টির প্রভাব রয়েছে বর্ষাকালের মতই। শরতেও বৃষ্টির প্রভাব থাকায় এবার আগাম শীতকালীন বা খরিপ-২ মৌসুমের ফসল চাষ অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমাটো, শিম, মুলা ও পালংশাকসহ শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত ও আগাম আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি খরিপ-২ বা আগাম শীতকালীন সবজি চাষ মৌসুমে বগুড়ায় ২ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার চাষিরা। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের মাঠে থাকা বেশ কয়েক হেক্টর জমির আলু জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আগাম শীতাকলিন সবজির জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ নিরুপণ করার মতো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে।
এদিকে আগাম শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষিরাও। মাঠে ইতোমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, টমেটো, বেগুন ও মূলা চাষ হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে এসব সবজির ক্ষেতেও পানি জমে গাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তারা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এবারও উঁচু-নিচু সব জমির ফসলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শরৎকালে গত বছরও এমন বৃষ্টির কবলে পড়েছিলেন তারা। এবারও এমন অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে তাদের ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনআবহাওয়া অফিস বগুড়ার তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বগুড়ায় ২০১ মিলিমিটর বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ের চেয়েও বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩০৩.৬ মিলিমিটার। এই অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ (চলতি দায়িত্ব) আশিকুর রহমান জানান, এবারের শরৎকালে বগুড়ায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত দেশের বৃষ্টি বলয়ের কারণে। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পথে, আর টানা বৃষ্টি না হলেও আগামী কয়েক দিন থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান বলেন, এবার শরৎকালে বৃষ্টি কিছুটা বেশি। এতে খরিপ-২ মৌসুমে সবজি চাষাবাদে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি আগাম আলু চাষাবাদের শুরুর ধাক্কা দিয়েছে এই বৃষ্টি। তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, শসা ও মূলা এখন জমিতে রয়েছে আবারও অনেকেই জমি প্রস্তুত, বীজ বপণ এবং চারা রোপণ করছেন। এগুলো অনেকটাই সংবেদনশীল ফসল। জলাবদ্ধতা দীর্ঘ হলে বা দীর্ঘ দিন মাটি ভেজা থাকলে শিকড় পচে গাছ মারা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন