তবুও আক্ষেপ রয়েছে মেহেদীর

অভি মঈনুদ্দীন ঃ চিত্রনায়ক মেহেদী, সেই শিশু বয়স থেকেই সিনেমাতে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু। ছোটবেলায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আবু সাঈদ খানের হাত ধরে সাইফুল আজম কাশেম পরিচালিত ‘‘ধন দৌলত’ সিনেমায় শাবানার ছেলের ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় মেহেদীর। তার পুরোনাম মোঃ নাজমুল হক শামীম।
কিশোরগঞ্জের সন্তান মেহেদীর জন্ম ১৯৭৮ সালের ২৯ নভেম্বর। পুরোনো ঢাকার বাংলা বাজার স্কুল থেকে পড়াশুনা শেষে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। ছোটবেলায় হাসু আমার হাসু, অন্যায়, চেনামুখ, শরীফ বদমাস, তিন বাহাদুর, মর্যাদা, কাবিন, বিধাতা, কসম, বিস্ফোরণ’সহ আরো বেশকিছু সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এরপর তিনি বড় হয়ে নায়ক হিসেবে সিনেমায় কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি মমতাজ আলীর ‘নতিজা’ সিনেমায় দুই নায়কের এক নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তবে এরপরই তিনি বাংলা সিনেমায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ছিলো তোজাম্মেল হক বকুলের ‘পাড়ল মন’। এতে তার নায়িকা ছিলেন অন্তরা। এই সিনেমার একটি গান ছিলো ‘পাগল মন মনরে মন কেন এতো কথা বলে’। গানটি সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই গানের জন্যই সিনেমাটি বেশ ব্যবসা সফল হয়েছিলো। এরপর মেহেদী একে একে বালিকা হলো বধূ, শুধূ তোমারী, শত জনমের প্রেম, পরাণ কোকিলা, দানব, রুস্তম, রুটি, ক্ষুধার জালা, নারী আন্দোলন, নয়া কসাই, তীব্র প্রতিবাদ, মেয়ে অপহরণ, বাবার জন্য যুদ্ধ, বাবার কসম, দুজন দুজনার, নিষ্পাপ কয়েদী, খতম, প্রিয়া আমার প্রিয়া’সহ আরো বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। মেহেদীর ভাষ্যমতে তিনি চারশত’রও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এই মুহুর্তে তিনি নবাগত পরিচালক মিজানের ‘প্রেমের শপথ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন।
দীর্ঘদিনের চলচ্চিত্র জীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মেহেদী বলেন,‘ চলচ্চিত্রে আমার যাত্রাটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছিলো। শিশুশিল্পী হিসেবে আমি বেশ ভালো ভালো সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। বড় বেলাতে এসেও আমি একক নায়ক হিসেবে বেশকিছু ভালো ভালো সিনেমাতে কাজ করার সুযোগ পাই। পেয়েছি দর্শকের ভালোবাসা। কিন্তু এক সময় এসে আমি পলিটিক্সের শিকার হই। প্রধান নায়কের সঙ্গে তখন সাইড নায়ক হিসেবে কাজ শুরু করি। যাইহোক, চলচ্চিত্র থেকে আমি অনেকব কিছু পেয়েছি। কিন্তু আক্ষেপ রয়েগেছে যে চারশত সিনেমাতে কাজ করলেও আমি আমার মনের মতো কোনো সিনেমায় মনের মতো চরিত্রে কাজ করতে পারিনি। হয়তো আগামীতে কোনো একদিন সেই সুযোগ আসবে। দর্শকের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুনএদিকে মেহেদী মতিঝিলের ‘রহমান ফিলিং’ (পেট্রোল পাম্প) ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তার বাবা মাহবুবুল হক মল্লিক ও মা বেগম রোকেয়া। মা কয়েক বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। মেহেদীর এক ছেলে ও এক মেয়ে।
মন্তব্য করুন