চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাপের কামড়ে দুই কৃষকরে মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় সাপের কামড়ে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও এক কৃষক। মৃতরা হলেন, সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আলালপুর গ্রামের আওকাত আলী ওরফে গুধার ছেলে রানাউল ইসলাম(৩৭) এবং একই ওয়ার্ডের খাড়োবাটরা গ্রামের মৃত গুধার ছেলে আজিজুল ইসলাম(৫০)।
এছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১নং ওয়ার্ডের হোসেনভিটা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আনারুল ইসলাম(৫০)। এদিকে সাপে কাটা রোগীকে এন্টিভেনম না দেবার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেèর বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এবং ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সুকুমার রায় বলেন, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রানাউল। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পর গতকাল রোববার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেবার পথে সকাল ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে গত শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে ধানের জমিতে কাজ করার সময় সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষক আজিজুল। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুনপ্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল আরও বলেন, এছাড়াও দু’সপ্তাহ পূর্বে ৩নং ওয়ার্ডের শিকারি গ্রামের জাহিরুল(৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের পালানুরের ছেলে। এই জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পরও সাপে কাটা রোগীদের এন্টিভেনম দেয়া হচ্ছে না।
অভিযোগের ব্যাপারে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হামিদ বলেন, সাপে কেটে দুজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ ডোজ বা ৪০ ভায়াল এন্টিভেনম মজুদ আছে। কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে সাপে কাটা রোগীকে রেফার্ড করতে হলে এক ভায়াল এন্টিভেনম দিয়েই স্থানান্তর করতে হবে। এখন কেন কি পরিস্থিতিতে ওই দুজনকে এন্টিভেনম দেয়া হয় নি তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন