ভিডিও বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্য বিচারের দাবি পরিবারের

কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্য বিচারের দাবি পরিবারের। ছবি : দৈনিক করতোয়া

কুড়িগ্রাম জেলাা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ফাতেমাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেছে নিহতের পরিবার। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নিহতের স্বজনরা। এসময় নিহতের বাবা-মা’সহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত ফাতেমার পিতা মো. আসাদ আলী (আসাবুদ্দিন) লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ রাতে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের ধরনায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালানো হয়।

তিনি জানান, ফাতেমার স্বামী শামীম মোল্লা জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইল জেলায় থাকলেও নিয়মিত পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এলাকার কিছু দুষ্কৃতকারী ও মাদকসেবীরা ফাতেমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার রাতে ফাতেমার শাশুড়ি ও জা নিজ বাড়িতে ছিলেন না। তারা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন।

এ সময় প্রথমে সফিকুল ইসলাম সফি নামের এক যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হয়। এরপর রাত গভীর হলে সফিকুলসহ প্রায় ১২ জন সংঘবদ্ধভাবে ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। আসাদ আলী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলুর প্রত্যক্ষ তদবিরে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন

নামাজের চর পুলিশ ফাড়ির থেকে এসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালে গলায় ও শরীরে জখম থাকার পরও আত্মহত্যার কাহিনি সাজায় পুলিশ। এমনকি থানায় মামলা করতে গেলে জোরপূর্বক সাদা কাগজে তার আসাদ আলীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মেয়ের আত্মহত্যার স্বীকারোক্তি তৈরি করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তিনি মেয়ের ময়না তদন্ত রিপোর্টও পাননি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে মেয়ের শাড়ি উদ্ধার করা হলেও লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায়। এ নিয়ে গ্রামে নানা প্রশ্ন উঠলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মামলা ও তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। বরং ভিকটিমের পরিবারকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ফাতেমার বাবা মো. আসাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে সত্য গোপন করছে। একজন পিতা হিসেবে আমি আমার মেয়ের ন্যায়বিচার চাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার শেরপুরে টানা বৃষ্টিতে মহাসড়ক ও বসতবাড়িতে হাটু পানি

মাদরাসায় পড়েছি, এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন: ধর্ম উপদেষ্টা

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা 

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কাশফুল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

১৫ বছর দেশে অসুরের রাজত্ব চলেছে : মাহমুদুর রহমান মান্না

বগুড়ার শাজাহানপুরে অভিনব কায়দায় ইজিবাইক ছিনতাই, গ্রেফতার ৬