মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে হামলার মূলহোতা গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর প্রধানসহ তিনজনকে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১ -এর অপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ আগস্ট মধ্য রাতে রাজধানীর মতিঝিলের গাংচিল হোটেলে অভিযান চালিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হামলার ঘটনায় জড়িত মো. হারুনকে (৪৭) আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টায় যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকা থেকে মো. জামিল উদ্দিন মাসুমকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সকালে গাজীপুর সদর থানার তেলিপাড়া এলাকা থেকে নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর প্রধান রিপনকে (৪১) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চারটি বাটন ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রিপনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুরের বিভিন্ন থানায় ২টি অস্ত্র আইনে মামলা, ৫টি ডাকাতি মামলা, ৫টি হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলা, ২টি চাঁদাবাজি মামলা, ৫টি চুরি মামলা, ১টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা ও ৩টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।
গণমাধ্যম ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পাল্টা গুলির কারণে আক্রমণকারীরা শেষ পর্যন্ত ট্রলারে চড়ে চাঁদপুরের মতলব থানার দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশের পর্যবেক্ষণে ও অভিযান পরিচালনার কারণে হামলার মূলহোতারা গ্রেপ্তার হয়েছে।
আরও পড়ুনস্থানীয়রা জানান, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহল চালিয়ে আসছিল। এর সঙ্গে চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ড ও নৌ ডাকাতি জড়িয়ে রয়েছে। ভয়ে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন গ্রামে ফিরে আসতে পারছিল না। পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর জনগণ ধীরে ধীরে গ্রামে ফিরতে শুরু করে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) সৈয়দ আজহারুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার কার্যক্রম চলছে।
মন্তব্য করুন