ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিং স্কিল বাড়াচ্ছেন জুলিয়ান

স্পোর্টস ডেস্কঃ ব্যাটিংয়ে বরাবরই দুর্বল বাংলাদেশ। তবে কখনও কখনও ব্যাটাররা তাদের সামর্থের প্রমাণ দেন। বেশিরভাগ সময় ব্যাটিংয়ের কারণে হেরে যায় লাল সবুজের জার্সিধারীরা। সামনে এশিয়া কাপের আসর। তার আগে ব্যাটারদের স্কিল দক্ষতা বাড়াতে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জুলিয়ান উড নামের সে কোচ গত কয়েক দিন ধরেই মিরপুরে ক্রিকেটারদের ভিন্নধর্মী অনুশীলন করাচ্ছেন। বিশেষভাবে তৈরি একটি ব্যাট ব্যবহার করছেন তিনি, যার নাম প্রো ভেলোসিটি ব্যাট। এ ব্যাট দিয়ে ব্যাটারদের উন্নত হিটিং স্কিল গড়ে তুলতে কাজ করছেন জুলিয়ান। প্রো ভেলোসিটি ব্যাট মূলত শরীর ও ব্যাটের টাইমিং, ব্যাট স্পিড এবং কন্ট্রোল বাড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) অনুশীলন শেষে কথা বলেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় জাকের আলী অনিক। তিনিই মূলত তুলে ধরলেন জুলিয়নের অনুশীলন কৌশল! আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ করছে জুলিয়ান। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে। যারা টাইমার, তাদেরকে কীভাবে আরও ২-৩ মিটার ভালো দূরত্ব দেয়া যায়, ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বিশেষ এ ব্যাটের মাধ্যমে কতটা উন্নতি হবে ব্যাটারদের, এমন প্রশ্ন সর্বত্র। জাকের অবশ্য সামনে তাকিয়ে, পরিবর্তনগুলো ম্যাচ ছাড়া মেজার করা যাবে না। যেহেতু দুই-তিন দিনই হলো, ম্যাক্সিমাম স্কিল নিয়ে কাজ হয়েছে। তো এগুলা, সামনে হয়তো সিলেটে আমাদের নেট হবে, ওইখানে আরও ডিফারেন্ট কিছু হবে। তো এত তাড়াতাড়ি কমেন্ট করাটা ঠিক হবে না যে কী ইমপ্রুভ হয়ে গেলো, কী না হলো। আরও একটু আমার মনে হয় সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের যে কাজগুলো দেয়া হয়েছে, ওই সেটা করার চেষ্টা করছি। তাই এ সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ডিফারেন্ট ড্রিলসগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।
জাকেরের মতে, একেকজনের সুইং একেক রকম। কারও সুইং বেসবল টাইপ, কারও সুইং গলফ টাইপ। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কোনটা নিবে। আসলে ও আসার পরেই বলছে, আমি তোমাদেরকে এখানে... বেসিকের মধ্যেই আমি চেঞ্জেসটা আনতে চাচ্ছি। মানে ও ডিফারেন্ট কিছু দিয়ে দিবে না। তো ঐরকম কিছুই বলছে। সো যার যার প্যাটার্ন অনুযায়ী ও এ কাজটা দেয়ার চেষ্টা করছে।
তবে জাকের আত্মবিশ্বাসী, ধারাবাহিক ভাবে কাজ করা গেলে সফল হওয়া সম্ভব, হ্যাঁ অবশ্যই, ভালো একটা অনুভূতি আসে। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা যায়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এ জিনিসগুলো ধারাবাহিকভাবে করলে অবশ্যই কাজে দিবে।
মন্তব্য করুন