রাজশাহীতে অভিযানে ৩ জন আটক অস্ত্র-বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে কোচিং সেন্টার ঘিরে যৌথবাহিনীর অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।
অভিযানটি সকালে শুরু হয়। এসময় আটক হয় মোন্তাসেবুল আলম আনিন্দো নামের এক তরুণ, তিনি একজন ইংরেজি শিক্ষক এবং ডক্টর ইংলিশ নামের কোচিং সেন্টারের মালিক। এছাড়াও মো. রবিন ও মো. ফয়সাল নামের আরও দু’জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
আটক আনিন্দো কয়েক বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে পরে তিনি ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান। আনিন্দো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচাতো ভাই ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলম লাটকুর ছেলে। আনিন্দোর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার দরিখরবোনা এলাকায় ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড) এর একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সাথে জড়িত সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানটি গত শুক্রবার ভোররাত ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়। এসময় আটক হন মোন্তাসেবুল আলম আনিন্দো, যিনি স্থানীয়ভাবে একজন ইংরেজি শিক্ষক এবং ডক্টর ইংলিশ নামক কোচিং সেন্টারের মালিক হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও মো. রবিন এবং মো. ফয়সাল নামে দুইজন ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনঅভিযানে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি, সামরিক মানের দূরবীন ও স্ন্নাইপার স্কোপ, ৬টি দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি ৭ টি ধারালো ড্যাগার, ৫ টি উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, একটি সামরিক মানের জিপিএস, একটি টিজার গান, বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি কার্টিজ, বিপুল সংখ্যক অব্যবহৃত সিম কার্ড, বিস্ফোরক বোমা বানানোর সরঞ্জামাদি, ৬টি কম্পিউটার সেট, ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা, বিভিন্ন দেশি বিদেশি মদ ও ১১টি নাইট্রোজেন কার্টিজ (বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত তাজা সামগ্রী হওয়ায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তি রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের ভাতিজা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযানের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক কিংবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন