ভিডিও শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫

নারীর সফলতা এখন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম

ছবি : সংগৃহীত,নারীর সফলতা এখন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম

নিজের আলোয় ডেস্ক : নারীদের সফলতা এখন আর কল্পনার বিষয় নয় এটি বাস্তবতা। বিশেষ করে যারা ছোট গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে উঠে এসেছে, তাদের গল্পগুলো আরও অনুপ্রেরণাদায়ক। ফরিদপুর জেলার ছোট এক গ্রাম থেকে উঠে আসা খাদিজা সুলতানা। একসময় যিনি সেলাই মেশিনে জামা তৈরি করতেন, এখন তিনি ইউরোপে নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা।
মেয়েদের মধ্যে এই পরিবর্তনের পেছনে যে বিষয়গুলো কাজ করছে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার, ও আত্মবিশ্বাস। অনেক সময় শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশনই একজন নারীকে পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বের অন্যতম উদ্যোক্তার তালিকায়।

মেয়েদের সফলতার উদাহরণ শুধুমাত্র খাদিজা নন। বাংলাদেশি নারী নাহিদা ইসলাম যিনি এৎববহ ঠরষষধমব ঈৎধভঃং নামক একটি ই-কমার্স ব্র্যান্ড চালু করেছেন, সেটি এখন ইউকে এবং কানাডা পর্যন্ত সম্প্রসারিত। তিনি জানান, তার অনুপ্রেরণা এসেছিল ‘বাংলাদেশের হস্তশিল্পকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চাওয়া’ থেকে।

মেয়েদের সফলতার পেছনে গল্পগুলো সব সময়ই সহজ ছিল না। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, পরিবারিক দায়িত্ব এই সবকিছুর মধ্য দিয়েও তারা নিজেদের তৈরি করেছেন। অনেকেই হয়তো একাধিকবারের ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু তা তাদের দমাতে পারেনি।

রাঙ্গামাটির দীপ্তি চাকমা, যিনি একসময় স্থানীয় হস্তশিল্পের ছোট দোকান চালাতেন, এখন কানাডার একটি হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন। দীপ্তি জানান, ‘প্রথমে লোকজন আমাকে গুরুত্বই দিত না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি।’

তাদের এই সাহসী যাত্রা আরও জোরালো হয় যখন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা তারা পান। এখন সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও তহবিল সহায়তা দিয়ে থাকে। এই ধরনের সহযোগিতা শুধু যে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করেছে তা নয়, বরং তারা নিজ গ্রামে আরও নারীদের উদ্বুদ্ধ করছেন উদ্যোক্তা হতে।
অনেক সময় গ্রামীণ সমাজে নারীদের আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়। কিন্তু যখন তারা নিজের চোখে দেখে, তাদের এলাকার মেয়ে আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোক্তা হয়েছে, তখন সেটি অন্য মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া এই সফলতা আরও একটি বড় সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে মেয়েরা এখন আর শুধু গৃহিণী নয়, তারা পারিবারিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি পরিবার, সমাজ এবং দেশের উন্নয়নে একটি বিশাল ভূমিকা রাখে।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া সবকিছুই মেয়েদের সফলতায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম শপ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আজকের উদ্যোক্তা মেয়েরা নিজেদের পণ্য প্রচার এবং বিক্রয় করছেন সারা বিশ্বে।

আরও পড়ুন

তারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট ক্রীয়েশন সব কিছুই নিজেরাই করছেন। এতে যেমন খরচ কমছে, তেমনি নিজের দক্ষতাও বাড়ছে।

মেয়েদের সফলতা আমাদের সমাজকে একটি নতুন রূপ দিচ্ছে। তাদের সাহস, শ্রম, ও সংকল্প একে একে খুলে দিচ্ছে সাফল্যের দরজা। আজকের মেয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হবে আগামীকাল

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক, আহত পাচঁ

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

বগুড়ার সান্তাহারে যুবদল অফিসে হামলার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

একইমঞ্চে মুগ্ধতা ছড়ালেন অনুপমা মুক্তি ও জয়

নওগাঁর রাণীনগরকে পর্যটনমুখী করতে উদ্যোগ বাস্তবায়ন চায় উপজেলাবাসী