ভিডিও রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

এক নারীকে বিয়ের ব্যাপারে নীরবতা ভাঙলেন দুই ভাই

এক নারীকে বিয়ের ব্যাপারে নীরবতা ভাঙলেন দুই ভাই, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলায় সম্প্রতি দুই ভাই প্রদীপ নেগি ও কপিল নেগি এক নারীকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিয়ে নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছেন না তারা। বরং এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, হট্টি সম্প্রদায়ের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরে তারা গর্বিত।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সিরমৌরের শিলাইয়ের কুনহাট গ্রামের সুনীতা চৌহানকে স্থানীয় বহুবিবাহের ঐতিহ্য ‘জোড়িদার প্রথা’ মেনে বিয়ে করেন নেগি ভাইয়েরা। এই বিয়ের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ফেসবুক পোস্টে এক ভিডিও বার্তায় প্রদীপ নেগি বলেন, জোড়িদার প্রথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আসছে এবং এটি ভবিষ্যতেও চলবে। কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের গালি দিচ্ছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। পোস্টে তিনি দাবি করেন, জোড়িদার প্রথা শুধুমাত্র তাদের এলাকায় নয়; এটি উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাবর এলকায়ও প্রচলিত। যেখানে দুই বর এই ধরনের বিয়েতে একই নারীর সাথে মালাবদল করে।

আরও পড়ুন

কপিল নেগি বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়। এই সম্পর্ক দুই ভাই, তাদের স্ত্রী সুনিতা এবং উভয়ের পরিবার মেনে নিয়েছেন। প্রদীপ বলেন, আমি আমাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পক্ষে কথা বলব। আমাদের রীতিনীতির সাথে পরিচিত নন সেরকম ব্যক্তিরাও তাদের মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন। আমরা সকলেই এই বিয়েতে একমত হয়েছি এবং আমাদের পরিবার এবং সমাজ এতে খুশি। তিনি আরও বলেন, আমরা একটি নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে উঠে এসেছি, আমাদের জমি-জমাও কম। তারকাখ্যাতি পাওয়ার কোনো বাসনা নেই। আমরা খবরে আসার জন্য বিয়ে করিনি। প্রদীপ বলেন, এই বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো একসাথে থাকা এবং একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা বজায় রাখা। আমাদের নিজস্ব জীবন আছে, আমরা এই বিয়ে নিয়ে খুশি। দয়া করে আমাদের সমালোচনা করবেন না।

এনডিটিভি বলছে, গত ১২ জুলাই হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর জেলার ট্রান্স-গিরি এলাকায় তিন দিন ধরে চলে এই বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা। এতে গান-বাজনা, লোকনৃত্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। হট্টি জনগোষ্ঠী মূলত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী একটি সম্প্রদায়। ভারতে তিন বছর আগে এই গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তালিকাভুক্ত উপজাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ‘জোড়িদার প্রথা’ মূলত টিকে আছে পার্বত্য কৃষক সমাজে পৈতৃক জমি ভাগ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়ানোর জন্য। এমন বিয়েতে জন্ম নেয়া সন্তানের আইনি পিতা হিসেবে সাধারণত বড় ভাইকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার আদমদীঘির শিয়ালশন-জিনইর কোমরপুর সড়কের বেহাল দশা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ

বগুড়ার ধুনট-গোসাইবাড়ি ভাঙাচোরা সড়ক যেন মরণফাঁদ, চরম জনদূর্ভোগ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাছ ধরার ধুম, চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে ডারকি, খোলশানির

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উপজেলা বিএনপি

বগুড়ার ধুনটে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৭ জন আহত গ্রেফতার ২