ভিডিও শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

ঘুষকাণ্ডে নোয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঘুষকাণ্ডে নোয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ২৯১ জনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে। ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে দুদক ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা জব্দ করে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে।

দুদকের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, মৃত্যু সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানসহ বিভিন্ন সেবা বাবদ স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে চেয়ারম্যান বাবলু ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তার ২৯১ জনের কাছ থেকে মোট ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করেন।

দুদক দাবি করেছে, অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে এই অর্থ আদায় করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি টিম ছদ্মবেশে ১০নং অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু উপস্থিত ছিলেন না। 

আরও পড়ুন

তদন্তে জানা যায়, তিনি (৫ আগস্ট) থেকে পলাতক ছিলেন। একইভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবর্ণা আক্তারও ওই সময়ে কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। দুদকের তথ্য মতে, তিনি ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত বিভাগীয় প্রশিক্ষণে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন সঞ্জীত কুমার কর্মকার। অভিযানের সময় সঞ্জীত কুমার এবং আউটসোর্সিং কর্মচারী অনিতা রানী শীল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের পেন্ডিং ফাইলগুলো বের করে আনেন।

প্রত্যেকটি আবেদনের সঙ্গে স্ট্যাপল করা অবস্থায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে ঘুষের অর্থ পাওয়া যায়। অভিযানের সময় মোট ৭৩ হাজার ৮৫০ টাকা নগদ জব্দ করা হয়। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জীত কুমার কর্মকার জানান, এই টাকা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার নির্দেশেই আদায় করা হতো।

তিনি আরও জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ফরম পূরণের সময় চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার দুটি পৃথক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হতো।

দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু এবং সুবর্ণা আক্তার যৌথভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে রেখেছিলেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। তবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুদকের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার দুই

টয়লেটের ফ্লাশ নষ্ট, এক ঘণ্টা আকাশে উড়ে ঢাকায় ফিরলো বিমান

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন শহীদ সাংবাদিক তুরাবের ভাই

দিনাজপুরের পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার খুশি দিনাজপুরের কৃষকরা

পাবনার ফরিদপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

বর্তমান রাজনীতি চব্বিশের মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে হতে হবেঃ নাহিদ ইসলাম