ভিডিও মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

জানে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ

বগুড়া ইয়াকুবিয়া স্কুল এন্ড কলেজে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের

বগুড়া ইয়াকুবিয়া স্কুল এন্ড কলেজে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের

স্টাফ রিপোর্টার : ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আলম। ১০ দিন আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও জানানো হয়নি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতিকে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গত ২০ জুলাই ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে এক ছাত্রীর কাছে একটি খাতা পাওয়া যায়, যাতে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিলো যা প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যায়। ওই ক্লাসের পরীক্ষক সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান নকল করার দায়ে ওই ছাত্রীর খাতা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ‘র কাছে যান।

সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান দৈনিক করতোয়া’কে জানান, তিনি পরীক্ষার কক্ষে গার্ড দেওয়ার সময় ওই মেয়েকে সন্দেহ হলে তার কাছে ৮টির মত পৃষ্ঠা পাওয়া যায় তাতে ৪টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ছিলো। যা প্রশ্নের সাথে মিলে যায়। পরে ওই খাতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন ওই ছাত্রী জানিয়েছেন সে ওই স্কুলের আব্দুর রহমান স্যারের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছিলো।

এদিকে ইয়াকুবিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান শহরের জলেশ্বরীতলায় কোচিং সেন্টার দিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি যাদেরকে পড়ান তাদেরকে প্রশ্ন দেন। এতে করে তার কোচিং সেন্টারে ছাত্রী বেশি হয়।

স্কুলের শিক্ষকেরা কোচিং বানিজ্য করলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন পদক্ষেপ নেন না। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, তিনি ওই ছাত্রীকে কোন প্রশ্ন দেননি। ওই ছাত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছে ।তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে শোকজ করা হয়েছিলো। তিনি শোকজের জবাব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আলম জানান, অভিযুক্ত আব্দুর রহমান এবং যিনি প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করেছেন তাকে শোকজ করা হয়েছিলো। তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত কি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে কিছু জানান হয়নি। এ ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারী প্রতাপ কুমার জানান, তিনি প্রশ্ন তৈরী করে সিনিয়র শিক্ষক শিশির কুমার রায়ের কাছে জমা দিয়েছিলেন। কিভাবে সেই প্রশ্ন বাইরে গেল তা তিনি জানে না।

গত ১০ দিনেও তিনি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)কে কেন জানান হলো না জানতে চাইলে তিনি দৈনিক করতোয়া’কে বলেন, জানান উচিৎ ছিলো কিন্তু জানান হয়নি। এব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আরাফাত হোসেন জানান, এত বড় ঘটনা ঘটলেও কেন তাকে জানান হলো না সে বিষয়টি তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ‘র কাছে জানতে চাইবেন। তিনি বলেন শোকজ হলো অথচ জানান হলো না এটা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঠিক করেন নি। তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলতি জুলাই মাসেও চালু হচ্ছে না জবি'র ফুডকোর্ট

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যুবক ছুরিকাহত ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ গ্রেফতার

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুটি দই ঘরের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে গেছে