কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ নিরসনে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতা চায় না থাইল্যান্ড

কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ নিরসনে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড।
দেশটি জানিয়েছে, কেবলমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান সম্ভব এবং কম্বোডিয়াকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোর্নদেজ বালাঙ্কুরা বলেন, আমরা এখনই কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন মনে করছি না। দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থাই এই সংঘাত থেকে উত্তরণের সর্বোত্তম উপায়।
সীমান্তে ছোটখাটো উত্তেজনা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখন প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ ও আর্টিলারি হামলায় রূপ নিয়েছে, যা দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই থাই নাগরিক।
বিবাদপূর্ণ সীমান্তে বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হয় এই সংঘর্ষ, যা ছোট অস্ত্র থেকে শুরু করে ভারী গোলাবারুদের ব্যবহারে পরিণত হয়। উভয় দেশ একে অপরকে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দায়ী করছে।
সংঘর্ষের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়া (বর্তমান আসিয়ান সভাপতি) শান্তিপূর্ণ সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়। তবে থাইল্যান্ড তা প্রত্যাখ্যান করে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুননিকোর্নদেজ বলেন, আমরা এখনো আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি, কিন্তু প্রথমে কম্বোডিয়াকে সীমান্তে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
সংঘর্ষ শুরুর একদিন আগে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়। এর পেছনে সীমান্তে স্থাপিত ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাই সেনাদের আহত হওয়া অন্যতম কারণ বলে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়। তবে কম্বোডিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে একটি জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানান এবং থাইল্যান্ডকে অপ্ররোচিত ও পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের জন্য অভিযুক্ত করেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।
এদিকে আসিয়ানের সভাপতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমি উভয় দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি।
মন্তব্য করুন