গাইবান্ধার সাঘাটায় ডাকবাংলা জুমারবাড়ী সড়কের বেহাল অবস্থা

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাঘাটায় ডাকবালা-জুমারবাড়ী সড়কটির ডাকবাংলা চার মাথা হতে জুমারবাড়ী বাজারের দক্ষিণ পাশে চৌ-মাথায় (সিএনজি স্ট্যান্ড) সড়ক ও জনপদের সড়ক-এর সাথে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা বিরাজ করছে।
সংস্কার অভাবে এলজিইডির প্রায় ৬ কিলোমিটার এ সড়কটির পাথর ও ইটের খোয়া উঠে সড়ক জুড়ে অসংখ্য খনাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ সড়কে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সড়কটি সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের জোড়ালো হলেও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সাঘাটা ও ফুলছড়ি দুটি উপজেলার সাথে বগুড়া জেলার সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কে প্রতিনিয়িত ২৪ ঘন্টাব্যাপী অসংখ্য ছোট-বড় যাত্রীবাহী যানবাহন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলার পণ্যবাহী ভারী পরিবহণ যাতায়াত করে। বিশেষ করে ঐতিহ্য ফুলছড়ি ও ভরতখালী, জুমারবাড়ী হাটবার সপ্তাহের ৫ থেকে ৬ দিন গরু-ছাগল, দুই উপজেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বড় পরিবহণে করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা, শহর ও অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর মালবাহী পরিবহণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ সড়কে এই অঞ্চল আসা যাওয়া করে। সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় প্রশস্ততা অত্যন্ত কম এবং সড়ক জুড়ে খনাকন্দ ও কার্দমাক্ত অবস্থা বিরাজ করার কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
বিশেষ করে জুমারবাড়ী বাজারের প্রবেশ পথ (ওয়াপদা বাঁধ) হতে জুমারবাড়ী চৌ-মাথা সিএনজি স্ট্যান্ড সড়ক ও জনপদের সড়ক পর্যন্ত সড়ক অবস্থা আরও নাজুক। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রয়োজনের তাগিতে যানবাহনে যাতায়াত করতে গিয়ে জনসাধারণকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জয়পুরহাট থেকে আসা ভরতখালী হাটগামী গরুবাহী ভটভটি গাড়ি চালক আতিয়ার রহমান জানান, কাদা ও পানি জমে থাকায় বুঝতে না পারায় গর্তের ভিতর চাকা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে গাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুনকোনো রকমে লোকজন এবং গরুর জীবন রক্ষা পেয়েছে। একই ধরণের দুর্ঘটনার গল্প শুনালেন ফুলছড়ি হাট থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী শুকনামরিচবাহী ট্রাক চালক আলতাব হোসেন সহ আরও অনেক ছোট বড় অনেক যানবাহন চালক।
স্থানীয়রা ইউপি সদস্য রাসেল আহম্মে জানান, দৈনন্দিন এখানে যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। স্থানীয় দোকানদাররা নিজেদের মধ্যে থেকে তোলা টাকায় মাঝে মধ্যে মাটি ভরাট করে। বৃষ্টি হলে আবারও একই অবস্থা হয়। জনসাধারণের এই চরম দুুর্ভোগ লাঘবে ডাকবালা-জুামরবাড়ী জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রশস্তকরণসহ উন্নয়ন করা জরুরী।
এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন রায় জানান, ডাকবাংলা হতে জুমারবাড়ী পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়নের জন্য এই মুহুর্তে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে জুমারবাড়ী বাজার প্রবেশ পথ হতে চার মাথা সড়ক ও জনপদ সড়কের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত দুই শত মিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ খুব শীঘ্রই শুর হবে।
মন্তব্য করুন