ঢাবিতে ‘জুলাই প্রতিরোধ স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপন
_original_1752857452.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নতুন করে যুক্ত হলো প্রতিরোধ, আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার এক অনন্য স্মারক—‘জুলাই প্রতিরোধ স্মৃতিস্তম্ভ’। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে অভূতপূর্ব ছাত্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, তারই স্থায়ী স্মৃতি রচনার প্রয়াস হিসেবে
শুক্রবার (১৮ জুলাই) এটি স্থাপন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের প্রাঙ্গণে।
স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছেন ১৫ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রতিরোধে অংশ নেওয়া একদল সাহসী শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবি—এটি শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, বরং একটি প্রতীক; অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত না করা, শিক্ষাঙ্গনে দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহসিকতার চেতনাপুঞ্জ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ বলেন, “১৫ জুলাইয়ের সেই ভয়াল দিনে শহীদুল্লাহ হলের সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা খালি হাতে রুখে দাঁড়িয়েছিল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এই প্রতিরোধ ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজকের স্মৃতিস্তম্ভ সেই সাহসিকতারই চিরস্থায়ী স্মারক।”
আরও পড়ুনএকইভাবে শিক্ষার্থী সোহান আহমেদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রথম সংঘবদ্ধ জবাবই ছিল জুলাই প্রতিরোধ। এটি কেবল একটি দিনের ঘটনা নয়, বরং এটি এক সংগ্রামী চেতনার সূচনা। ‘জুলাই প্রতিরোধ স্মৃতিস্তম্ভ’ সেই চেতনার অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও লেখেন, “এই নামটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই দিনটির কথা, যেদিন ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হয়েছিল; তবুও মাথানত করেনি শিক্ষার্থীরা। এটি ছিল গণতন্ত্র, গণঅধিকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সাহসী প্রজন্মের প্রথম প্রত্যুত্তর।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো মন্তব্য না পাওয়া গেলেও শিক্ষার্থীদের মতে, এই স্মৃতিস্তম্ভ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেবে যে, অন্যায়-অবিচার ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যাওয়াই প্রকৃত ছাত্রচরিত্রের প্রতীক।
মন্তব্য করুন