ভিডিও সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী চিকিৎসায় এন্টিভেনম সংকট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী চিকিৎসায় এন্টিভেনম সংকট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আতঙ্কজনক পর্যায়ে রয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সাথে বেড়েছে ডায়ারিয়া। এছাড়া সীমান্তবর্তী জেলায় আবারও শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা। চলছে আমন ধান রোপণ মৌসুম এবং আমপাড়া।

সংশ্লিস্টরা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি আগাম ও পরিমাণও বেশি। বর্ষায় ও নদীর পানি বাড়ার মৌসুমে জেলায় বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। জেলার বিস্তীর্ণ পদ্মা’র চরাঞ্চল, মহানন্দা নদীর তীরঘেঁষা এলাকা ও জেলার প্রত্যন্ত আমবাগানে রাসেলস ভাইপারসহ (চন্দ্রবোড়া) বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপের উপদ্রব রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো।

কাজেই এ ব্যাপারে এখনই সতর্ক হতে হবে। জানা গেছে, সাপে কাটা বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হওয়ায় এ ব্যাপারে জেলায় রেকর্ড থাকে না। ফলে অনেক মৃত্যুই অজানা থেকে যায়।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে বিষাক্ত সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসায় অপরিহার্য এন্টিভেনম ইনজেকশনের সংকট রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এন্টিভেনম ইনজেকশনের সরবরাহ সংকট রয়েছে। একজন রোগীকে ১০টি ভায়ালের এক ডোজ এন্টিভেনম দিতে হয়। বর্তমানে জেলা হাসপাতালে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় এক থেকে দুই ডোজ এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে। এন্টিভেনম সরবরাহের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দেয়া হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সংগ্রহের। মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিভেনম ব্যবহার করা যায় না। ফলে এর নিয়মিত সরবরাহ প্রয়োজন হয়।

জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, এখনও  হাসপাতালে বিষাক্ত সাপের কামড়ে বিষাক্রান্ত গুরুতর রোগী ব্যবস্থাপনার যথেষ্ট  সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি। হাসপাতালে  এখনও আইস্ইিউ চালু হয়নি। ফলে কোন সাপে কাটা সংকটাপন্ন রোগী এলে এন্টিভেনম দিয়ে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে চলতি বছর সাপেকাটা কোন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনও মারা যায়নি বলেও জানান তত্ত্বাবধায়ক।

আরও পড়ুন

এদিকে জেলা হাসপাতালের তুলনায় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম সরবরাহ পরিস্থিতি কিছুটা ভাল। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ ডোজ, গোমস্তাপুরে ৪ ডোজ, নাচোলে ৫ ডোজ, ভোলাহাটে ৬ ডোজ এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে।

এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয় স্টোরে ৫ ডোজ এন্টিভেনম মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এখান থেকে সরবরাহ করা হয়। জেলা হাসপাতাল সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ হওয়ায় তারা নিজেরাই চাহিদা সাপেক্ষে পৃথক সরবরাহ পায়।

সিভিল সার্জন ডা. মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চলতি বছর জেলায় এখনও কোন সাপেকাটা রোগী কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়নি। গত শুক্রবার গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর উদহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলেও জানান সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে অবশ্যই তার রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজাকার রাজাকার স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি : হাইকোর্ট

বগুড়ার ধুনটে অপহৃত মাদরাসাছাত্রী পাঁচ দিন পর উদ্ধার, পল্লী চিকিৎসক গ্রেফতার

বগুড়ায় ফেনসিডিল কারবারির দুই বছরের কারাদন্ড

সিরাজগঞ্জে এবার পাট চাষে বাম্পার ফলনের আশা

বগুড়ার ধুনটে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রীর আত্মহত্যা