২৪৫ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক : কলম্বোর প্রেমাদাসা মাঠে টসে হারলেও দারুণ শুরু করে বাংলাদেশের দুই বোলার। শুরুতে দুই পেসার তাসকিন ও তানজিম ২৯ রানে লঙ্কানদের ৩ উইকেট তুলে নেন। এরপর মিডল অর্ডারে ছোট ছোট জুটি হলেও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে একজন চারিথা আশালঙ্কা দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার সেঞ্চুরিতে ৪ বল থাকতে ২৪৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
আজ বুধবার কলম্বোয় পাথুম নিশাঙ্কাকে শুরুতে তুলে নেন তানজিম সাকিব। দুই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি করা ওপেনার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ডাক মারেন। পরেই অন্য ওপেনার নিশান মাদুষ্কাকে (৬) আউট করেন দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। ফর্মে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসকে আউট করেন রানের খাতা খোলার আগে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা।
কুশল মেন্ডিস ৪৫ রান করে দলের ৮৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। পঞ্চম উইকেটে আশালঙ্কা ও লিয়ানাগের ৬৪ রানের জুটি হয়। ওই জুটি ভাঙেন নাজমুল শান্ত। তিনি লিয়ানাগেকে ২৯ রানে আউট করেন। আশালঙ্কা ছোট আরও দুটি জুটি গড়েন মিলান রত্নায়েকে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে। এর মধ্যে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া পেস অলরাউন্ডার রত্নায়েকে ও আশালঙ্কা ৩৯ রান যোগ করেন। যাতে রত্নায়েকের অবদান ২২। হাসারাঙ্গার সঙ্গে লঙ্কান অধিনায়কের ৩২ রানের জুটি হয়।
আরও পড়ুনলেগ স্পিন অলরাউন্ডার হাসারাঙ্গাও ২২ রান করে ফেরেন। চার ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া লঙ্কান অধিনায়ক আশালঙ্কা ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১২৩ বলের ইনিংস সাজান ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার শটে। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তাসকিন ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার।
তিনি ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। অন্য পেসার তানজিম সাকিব ৯.২ ওভারে ৪৬ রান খরচা করে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অভিষেক হওয়া স্পিনার তানভীর ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে মুস্তাফিজুর রহমান ৬ ওভারে ২৪ রান দেন।
মন্তব্য করুন