স্বাক্ষর জাল করে টিআর-কাবিখার ৫২ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

নরসিংদীর শিবপুরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের স্বাক্ষর জাল করে টিআর/কাবিখা প্রকল্পের ৮১টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কার্য সহকারী (প্রজেক্ট) আরিফুল ইসলাম তুহিন ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত অফিস সহায়ক আশিক।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে এই গ্রেপ্তার ও টাকার জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ফারজানা ইয়াসমিন। এর আগে সোমবার রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) অভিযান চালায় আরিফুল ইসলাম তুহিনের বাসায়। ওই সময় তার ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি তুহিন।
শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে টিআর/কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ১৯১টি বিল হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বাজেট ঘাটতির কারণে ৮১টি বিল ফেরত (বাউন্স) আসে। তখনই প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এনএসআই গোপন অনুসন্ধান শুরু করে। ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ, বিল-ভাউচার এবং স্বাক্ষরের মিল না থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পর্যালোচনায় উঠে আসে, এই ৮১টি বিলের বিপরীতে জাল সই করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনউপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমরা হিসাবরক্ষণ অফিসে বিল জমা দেওয়ার পর জানতে পারি ৮১টি বিল বাউন্স হয়েছে। পরে সেই বিল ও ভাউচার পুনরায় যাচাই করে দেখা যায়—পিআইও অফিসের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন জানান, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল ইসলাম তুহিন ও আশিক স্বীকার করেন যে, তারা স্বাক্ষর জাল করে ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণ করা হবে। আমরা নগদ টাকাসহ আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন