ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

জাতীয় ফুটবল টুনামেন্টে উল্লাপাড়ার মৌসুমীর জোড়া গোলের সাফল্য

জাতীয় ফুটবল টুনামেন্টে উল্লাপাড়ার মৌসুমীর জোড়া গোলের সাফল্য। ছবি : দৈনিক করতোয়া

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : অতি সাধারণ ঘরের একজন মেয়ে পরিশ্রম, চেষ্টা ও আন্তরিকতা ও ক্রীড়ামোদীদের সমর্থন ও ভালবাসায় যে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের ভ্যান চালকের মেয়ে মৌসুমী খাতুন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দরিদ্র পরিবারের জন্ম নিলেও  দরিদ্রাতা এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। মৌসুমী উল্লাপাড়ার হামিদা বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

গত ১৯ জুলাই ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফুটবল টুনামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭ বালিকা) ফাইনাল খেলায় রাজশাহী বিভাগ দল ময়মনসিংহ বিভাগ দলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই খেলায় মৌসুমী দলের পক্ষে ১ম ও তৃতীয় গোল করেন।

আক্রমন ভাগের কৌসুলী খেলোয়াড় মৌসুমী অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় দক্ষতার সাথে দলের পক্ষে প্রথমার্ধ্বে ১টি দ্বিতীয়ার্ধ্বে ১টি করে গোল করেন। জীবনের প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পেয়ে দলের পক্ষে জোড়া গোল করে তিনি আনন্দে কেদে  ফেলেন। তার কান্না দেখে কেঁদেছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত তার সমর্থক ও ভিডিও দেখে কেঁদেছে উল্লাপাড়ায় তার পিতামাতা ও তার ভক্তবৃন্দ।

খেলা শেষে তিনি প্রচার মাধ্যমে তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমার আজকের সাফল্যের স্যোর। খেলার আগে আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন ‘তুমি খেলবা পিছনের দিকে তাকাবা না তোমার সবটুকু দিয়ে খেলবা’। খেলার মাঠে মনে হয়েছে যেন বাবাই আমার সাথে ছিলেন। আই লাভ ইউ বাবা।

আরও পড়ুন

মৌসুমীর কোচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ফুটবলার রঞ্জু বলেন, উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানীয় বালিকাদের ফুটবল অনুশীলন হতো। মৌসুমীসহ প্রায় ২০ জন বালিকা এতে অংশগ্রহণ করতো। মৌসুমী অনুশীলন করতো নিয়মিত। মৌসুমীর চেষ্টাই মৌসুমীকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।


মৌসুমীর পিতা রফিকুল ইসলাম সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প এনায়েতপুর গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন ভ্যানচালক। টানাটানির সংসার তার। এমনও দিন গেছে মৌসুমীকে দুপুরে না খেয়েই অনুশীলনে আসতে হতো। কোচ রঞ্জু আরো জানান, মৌসুমীর সাথে যারা উল্লাপাড়া ফুটবল অনুশীলন করে তারা কেউ ধনী ঘরের মেয়ে না। এরা সবাই গরিব ঘরের মেয়ে। এখান থেকে হরিণ, আইরিন ও জ্যোতি নামের তিন মেয়ে এ বছর বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে সেখানে ফুটবলের পাশাপাশি লেখাপড়া করছে।

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ ক্যাম্পাসের মেয়েদের ফুটবল অনুশীলন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উল্লাপাড়া থেকে মৌসুমীর মত আরও ভাল খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে ক্রীড়ামোদি ব্যক্তি ও সংশ্লিরা এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী ও ফুটবল প্রেমী ক্রীড়া মোদিরা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিমান্ড শেষে কারাগারে খায়রুল হক

রেকর্ড গড়ে মেসিদের লিগে সন হিউং মিন

কৃষকের স্বার্থ নিয়ে আপস করবে না ভারত: ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় মোদি

নাটোর লালপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে বন্ধ 

অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে জি কে শামীমের খালাস

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলা: অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ১৩ আগস্ট